সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটা সময় নির্বাচনে লড়তেও রাজি ছিলেন না তিনি। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি একটি পূর্ণরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, কোনও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী হতে রাজি নন। ভোটের ফলপ্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে সেই ওমর আবদুল্লাই শ্রীনগরের মসনদে বসতে চলেছেন।
ওমরের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নিয়ে বহু প্রশ্ন ছিল। এক তো তাঁর দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় ছিল। দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও ওমর, নাকি ফারুখ কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, সেটা নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন ছিল। অনেকেই অশীতিপর ফারুখকে চাইছিলেন কাশ্মীরের কুরসিতে। ভোটের আগে সেই সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেননি ফারুখ নিজেও। কিন্তু ভোট মিটতেই তিনি জানিয়ে দিলেন, ছেলে ওমরই মুখ্যমন্ত্রী হবেন।
ভোটের ফলাফলের ইঙ্গিত স্পষ্ট হতেই ফারুখ জানিয়ে দিলেন, "মানুষ আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। উপত্যকার মানুষ বুঝিয়ে দিলেন তাঁরা ৫ আগস্টের ওই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। ওমর আবদুল্লাহই মুখ্যমন্ত্রী হবেন।" ওমর আবার সদর্পে ঘোষণা করে দিয়েছেন, "যারা কাশ্মীরে আমাদের শেষ করতে এসেছিল, তাঁরা নিজেরাই নিশ্চিহ্ন।"
এই প্রতিবেদন লেখা হওয়া পর্যন্ত কাশ্মীরের নির্বাচনী ফলাফলের ট্রেন্ড বলছে, কংগ্রেস ন্যাশনাল কনফারেন্স জোট অনায়াসে ম্যাজিক ফিগার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। অন্য কোনও দলের সমর্থন তাদের প্রয়োজন পড়বে না। বিজেপি যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হওয়ার স্বপ্ন দেখছিল সেটাও বাস্তবায়িত হচ্ছে না। ন্যাশনাল কনফারেন্সই কাশ্মীরের একক বৃহত্তম দল হতে চলেছে। ন্যাশনাল কনফারেন্স এই মুহূর্তে এগিয়ে রয়েছে ৪২ আসনে। জোটসঙ্গী কংগ্রেস এগিয়ে ৬ আসনে। দুই সঙ্গী মিলিয়ে এগিয়ে ৪৮ আসনে। ৯০ আসন বিশিষ্ট জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ৪৬।