সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময় নষ্ট নয়। সরকার গঠনের একদিন পরই জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে সচেষ্ট নতুন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে কাশ্মীরের মন্ত্রিসভায় একটি প্রস্তাব পাশ করালেন তিনি। সেই প্রস্তাব নিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বারস্থ হচ্ছেন কাশ্মীরের নতুন মুখ্যমন্ত্রী।
আসলে ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা বাতিলের পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদাও ছিনিয়ে নেয় কেন্দ্র। ৩৭০ নিয়ে কাশ্মীরের মানুষের মধ্যে যেমন ক্ষোভ রয়েছে, তেমনই ক্ষোভ রয়েছে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা হারানো নিয়েও। সেই ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টাও করেছে বিজেপি। ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে উপত্যকায় গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানো হবেই। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে এখনও এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।
এ নিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে। কাশ্মীরের কলেজ শিক্ষক জহুর আহমেদ সমাজকর্মী খুরশিদ আহমেদ মালিক মামলাটি দায়ের করেছেন। তাঁদের দাবি, কেন্দ্র সরকার কাশ্মীরে দ্রুত পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও সে নিয়ে এখনও কার্যকরী কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। তাই অবিলম্বে কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরা উচিত। বৃহস্পতিবারই শীর্ষ আদালত এই মামলাটি শুনতে রাজি হয়েছে। তারপরই কাশ্মীর মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব পাশ করিয়েছেন ওমর। যদিও এই ধরনের প্রস্তাবের সেভাবে কোনও বৈধতা নেই। মূলত কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতেই রাজ্য সরকারগুলি এই ধরনের প্রস্তাব পেশ করে।
আসলে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফেরানো ওমর আবদুল্লার প্রাক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল। কংগ্রেস এই দাবিতেই সরকারে সরাসরি যোগ না দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কংগ্রেসের বক্তব্য, দল ৩৭০ ধারা ফেরাতে বদ্ধপরিকর। সার্বিকভাবে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদাকে ঘিরেই আবর্তিত কাশ্মীরের রাজনীতি। ফলে বাধ্য হয়েই মোদির উপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী।