সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঁচ দশকের ফিল্মি কেরিয়ারে জাভেদ আখতার (Javed Akhtar) তাঁর বলিষ্ঠ মতামতের জন্য একাধিকবার সংবাদের শিরোনামে এসেছেন। কখনও বা আবার স্পষ্ট কথা বলার জন্য, কখনও বা আবার পদবীর জেরে 'দেশদ্রোহী' কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে। তবে প্রবীন গীতিকার কিন্তু বরবার সপাট জবাব দিয়েছেন। এবারও তার অন্যথা হয়নি।
সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডেলে জনৈক নেটিজেন অযাচিতভাবেই জাভেদ আখতারকে আক্রমণ করে লিখেছিলেন, "আপনার বাবা তো আলাদা মুসলিম রাষ্ট্রের স্বার্থে পাকিস্তান তৈরি হওয়ার নেপথ্যে মদত জুগিয়েছিলেন। তারপর নিজের লেখালেখির উন্নতিসাধনে ভারতকে বেছে নিয়েছিলেন। আপনি এমন একজন গদ্দারের ছেলে, যিনি ধর্মের নীরিখে দু দেশের মধ্যে বিভাজনের সৃষ্টি করেছিলেন। আপনি যা কিছুই বলুন না কেন, সত্যিটা তো বদলাবে না।" প্রসঙ্গত জাভেদের বাবা জন নিসার আখতার একজন বিশিষ্ট কবি এবং উর্দু গজলের গীতিকার ছিলেন। এছাড়া, অনেকের কাছেই হয়তো অজানা যে, জাভেদ আখতারের বাবা জন নিশার আখতার ব্রিটিশ বিরোধী লেখকদের সোসাইটির অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর লেখা কবিতার মধ্য় দিয়েই তৎকালীন ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। এবং জাভেদ আখতারের ঠাকুরদা ফজল-ই-হক খয়রাবাদি ১৮৫৭ সালে ইংরেজদের বিরুদ্ধে মহাবিদ্রোহে অংশ নিয়েছিলেন। আন্দামানে আমৃত্যু জেলবন্দি থেকে কারাগারেই ১৮৬৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
[আরও পড়ুন: ‘আমি সহ্য করতাম না’, ‘ভাবি ২’ তৃপ্তির সঙ্গে ভিকি কৌশলকে ঘনিষ্ঠ দেখে ক্যাটরিনাকে উসকানি!]
স্বাভাবিকভাবেই স্বর্গীয় পিতার প্রতি এমন অপমানজনক কথা সহ্য হয়নি তাঁর। অতঃপর ওই নেটিজেনকে 'সবক' শেখাতেও পিছপা হলেন না জাভেদ আখতার। প্রবীণ গীতিকার ওই পোস্ট এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে পালটা লিখেছেন, "এদের মতো মূর্খকে এড়িয়ে যাওয়া উচিত কিনা জানি না! সেই ১৮৫৭ সাল থেকে আমার পূর্বপুরুষরা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত। আমার পরিবারের সদস্যরা যখন কেউ জেলে গিয়েছিলেন তো কেউ 'কালা পানি'র শাস্তিতে ভুগছিলেন, তখন সম্ভবত তোর বাপ-ঠাকুরদা ইংরেজ সরকারের জুতো চাটছিল।"