নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: তৃণমূলের রাজ্যসভার (Rajya Sabha) গ্রুপ থেকে জহর সরকারকে বের করা নিয়ে বিভ্রান্তি। শনিবার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদদের পুরানো হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ভেঙে দিয়ে নতুন গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকারকে গ্রুপ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে প্রথমে বিতর্ক তৈরি হলেও পরে জানা গিয়েছে এদিন সকালেই রাজ্যসভার সমস্ত সাংসদকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল এক ঘন্টার মধ্যে পুরানো গ্রুপ ভেঙ্গে দিয়ে নতুন গ্রুপ তৈরি করা হবে এবং সেখানে প্রত্যেক সাংসদের একটি করে নম্বর রাখা হবে।
সেইমতোই নতুন গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। তাতে রয়েছেন জহরও। পুরানো গ্রুপে অনেক সাংসদদেরই একাধিক নম্বর ছিল বলেই নতুন গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে বলেই তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘সবচেয়ে বড় পাপ্পু অমিত শাহ’, অভিষেকের বয়ান টি-শার্টে ছেপে প্রচারে তৃণমূল কর্মীরা!]
আসলে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সামনে পার্থ-অর্পিতা কাণ্ড নিয়ে দলের পক্ষে অস্বস্তিকর কিছু মন্তব্য করেন প্রসারভারতীর প্রাক্তন সিইও জহর সরকার (Jawhar Sarkar)। বলেছিলেন, ‘‘যখন টিভিতে দেখলাম বিশ্বাসই করতে পারিনি। কারও বাড়ি থেকে এত টাকা বেরোতে পারে! কল্পনার অতীত। এমন দুর্নীতির সিন টিভিতে কম দেখা যায়। কেমন যেমন গা শিরশির করছে।’’ পাশাপাশি ‘দলের একটা দিক পচে গিয়েছে’ এবং ‘এমন দল নিয়ে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করা যাবে না’ বলেও মন্তব্য করেন।
প্রকাশ্যে জহরের এই মন্তব্যে স্বভাবতই দলকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। সৌগত রায়, তাপস রায়ের মতো নেতারা তাঁকে পালটা তোপ দাগেন। তার পর থেকেই জহর আর তৃণমূলের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন রয়েছে। সেকারণেই জহরের বাদ পড়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও পরে জানা গিয়েছে বাদ পড়ার অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই।