shono
Advertisement
Pahalgam

পহেলগাঁও হামলায় মৃত বেড়ে ২৬, মাথায় বন্দুক ধরে জঙ্গিরা বলল, 'যাও মোদিকে বলো'

পুলওয়ামার পর এটাই ভারতের বুকে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা।
Published By: Subhajit MandalPosted: 08:39 PM Apr 22, 2025Updated: 08:45 PM Apr 22, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামীকে আগেই মেরেছে জঙ্গিরা। "আমাকেও মারো", চিৎকার করে উঠেছিলেন মহিলা। কিন্তু তাঁকে না মেরে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ক্রুর স্বরে জঙ্গিরা বলল, "তোমাকে মারব না। তোমার স্বামীকে মেরেছি। যাও গিয়ে মোদিকে বলো।" বিভীষিকার কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেললেন মহিলা। একটি নয়, পহেলগাঁও হামলার পর এমন বেশ কয়েকটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ঘুরছে। সেই কান্না, হাহাকার আর নৃশংসতা, যে কোনও সুস্থ ব্যক্তিকে বিচলিত করে দিতে বাধ্য।

Advertisement

বেসরকারি হিসাব বলছে, পহেলগাঁও হামলায় অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। এখনও বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি। পহেলগাঁওয়ে রীতিমতো ধর্মীয় পরিচয় দেখে দেখে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। স্থানীয় সূত্রের দাবি, জঙ্গিরা এসেছিল সেনার পোশাক পরে। সব মিলিয়ে ৪০ রাউন্ড গুলি চলেছে। মূলত আক্রমণ করা হয় অমুসলিমদের। ঘটনায় রীতিমতো তছনছ হয়ে গিয়েছে পেহেলগাঁওয়ের ওই বিখ্যাত রিসর্টটি। গোটা পরিস্থিতি নিয়েই উদ্বেগ বাড়ছে। নজর রাখছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফোন করে অমিত শাহকে দ্রুত কাশ্মীরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শাহ ইতিমধ্যেই শ্রীনগর রওনা দিয়েছেন। কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ-ও পুরো ঘটনাতে স্তম্ভিত। তিনি বলছেন, “সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মীরে সাধারণ নাগরিক বা পর্যটকদের উপর এত ভয়াবহ হামলা হয়নি। আমাদের পর্যটকদের উপর এই হামলা কাপুরুষের মতো কাজ। এই হামলাকারীরা অপরাধীরা পশু, অমানবিক। নিন্দার কোনও ভাষা নেই।” আবদুল্লাহ-ও শ্রীনগর থেকে পহেলগাঁওয়ের দিকে রওনা দিয়েছেন।

পুলওয়ামার পর এটাই ভারতের বুকে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা। অন্তত মৃতের সংখ্যার নিরিখে। পুলওয়ামা যেমন গোটা ভারতকে নাড়িয়ে দিয়েছিল, এই ঘটনার ভয়াবহতাও কোনও অংশে কম নয়। এই ঘটনার তদন্ত কোন পথে এগোয়, আপাতত নজর সেদিকে। সূত্রের খবর, শ্রীনগর পৌঁছেই সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন শাহ। এই মুহূর্তে পহেলগাঁওয়ের পরিস্থিতি কী? কীভাবে হামলা হল? গোয়েন্দা সূত্রে কোনও খবর ছিল কিনা, সবটাই জানতে চাইবেন তিনি। ইতিমধ্যেই হামলার দায় স্বীকার করেছে লস্করের টিআরএফ বা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। এটি লস্করের ছায়া সংগঠন। এই সংগঠন মূলত বিদ্রোহী স্থানীয়দের ব্রেনওয়াশ করে জঙ্গি হিসাবে নিয়োগ করে। প্রশ্ন হচ্ছে, যে জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছিল তারা স্থানীয় নাকি সীমান্তের ওপার থেকে আসা?

আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হল যে পর্যটকরা নিহত হয়েছেন, তাঁদের শনাক্তকরণ। দেহগুলি সঠিক ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া। সূত্রের দাবি, মৃতদের মধ্যে দুজন বিদেশি পর্যটকও রয়েছেন। সবটাই সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গেও তিনি বৈঠক করতে পারেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • বেসরকারি হিসাব বলছে, পহেলগাঁও হামলায় অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
  • পহেলগাঁওয়ে রীতিমতো ধর্মীয় পরিচয় দেখে দেখে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের।
  • স্থানীয় সূত্রের দাবি, জঙ্গিরা এসেছিল সেনার পোশাক পরে। সব মিলিয়ে ৪০ রাউন্ড গুলি চলেছে।
Advertisement