বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: আর জি কর হাসপাতালের ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়লেও বর্তমানে জুনিয়র ডাক্তাররা বাড়াবাড়ি করছেন এবং এবার তাঁদেরও সংযত হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করছেন জহর সরকার।
আলোচনার মাধ্যমে সমস্ত সমস্যার সমাধান সম্ভব বলেই তাঁর বিশ্বাস। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “জুনিয়র ডাক্তাররা বাড়াবাড়ি করছেন। তাঁদেরও বুঝতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয় না এমন কিছু আছে নাকি। সেক্ষেত্রে অবশ্য দু পক্ষকেই, জুনিয়র ডাক্তার এবং সরকারকে নমনীয় হতে হবে।”
[আরও পড়ুন: ‘নির্বাসিত’ আনোয়ারকে নিয়েই ম্যাচ খেলতে গেলেন কুয়াদ্রাতরা]
সাংসদ পদ ছেড়ে রাজনীতি থেকে অবসর নিলেও স্বৈরাচার, সাম্প্রদায়িকতা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই জারি থাকবে বলেই এদিন ঘোষণা করেছেন জহর। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দেখা করে তিনি তাঁর ইস্তফাপত্র তুলে দেন। খানিক পরেই ইস্তফাপত্রের ছবি-সহ ইস্তফা দেওয়ার ছবি এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে জহর লিখেছেন, ‘আমার সময় শেষ, স্যর! আজ সংসদ ভবনে ভারতের উপরাষ্ট্রপতির কাছে সাংসদ হিসাবে আমার পদত্যাগপত্র জমা দিলাম। এখন বলা এবং লেখার ক্ষেত্রে আমি মুক্ত। যা আমার স্বৈরাচার, সাম্প্রদায়িকতা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইকে শক্তিশালী করবে।’
[আরও পড়ুন: আদালতে আবেদন কেন? আনোয়ার ও ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে পালটা ফেডারেশনে মোহনবাগান]
বিকেলে নিজের মিনা বাগের সরকারি ফ্ল্যাটে তিন বছরের সাংসদ জীবনের আলোচনায় দল বা দলনেত্রীর বিরুদ্ধে একটি শব্দও খরচ করেননি জহর। তবে দলে তিনি আর থাকতে পারছিলেন না, সেকথা স্পষ্ট ভাষাতেই জানিয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন আমলা। তিনি সাংসদ পদ ছাড়ার কথা জানানোর পরে কংগ্রেস থেকে শুরু করে ডিএমকে, বিজেপি-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের রাজ্যসভার সাংসদরা তাঁকে ফোন করে ‘মিস’ করবেন বলে জানালেও তৃণমূলের কোনও সাংসদ ফোন করেননি বলেও কথাপ্রসঙ্গে জানিয়েছেন জহর।