রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: নেতাজি ইন্ডোরের প্রশাসনিক সভায় পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) কথোপকথনে লেগেছে রাজনীতির রং। এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। পুলিশের মেরুদণ্ডে আঘাত করা হয়েছে বলেই টুইটে দাবি করেছিলেন তিনি। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজ্যপালের বিরোধিতা করে টুইট করেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার।
রাজ্যপালকে উদ্দেশ্য করে লেখা টুইটে জয়প্রকাশ মজুমদার (Jay Prakash Majumdar) লেখেন, “রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে আপনার সংঘাতে লাভ কী? সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলে এবং টুইট করে সমস্যার সমাধান হবে? আপনার অবস্থানে শাসকদল কি সহানুভূতি পাচ্ছে না? রাজ্যপালের আচরণ রাষ্ট্রনেতাসুলভ হওয়াই কাম্য।”
[আরও পড়ুন: এ যে সাক্ষাৎ জটায়ু! লোকসভায় বিজেপি সাংসদকে দেখে চমকে উঠলেন অনেকেই]
দিনকয়েক ধরে জয়প্রকাশ মজুমদারকে নিয়ে অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। দলের সিদ্ধান্তে অবশেষে তাঁকে সাময়িক বরখাস্তও করে বিজেপি। এবার রাজ্যপালের বিরোধিতায় জয়প্রকাশের টুইট ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পদ্মশিবির। বিক্ষুব্ধ নেতার এই টুইটে কি লুকিয়ে রয়েছে দলবদলের ইঙ্গিত? রাজনৈতিক মহলে উঠছে সে প্রশ্নও।
এই একই প্রসঙ্গে রাজ্যপালকে খোঁচা দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও (Partha Chatterjee)। রাজ্যপাল যা করছেন, তা কাম্য নয়। উনি সংবিধান বিরোধী কাজ করছেন বলেও দাবি তাঁর। তৃণমূল নেতার আরও দাবি, জগদীপ ধনকড় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পুলিশদের উসকানি দিচ্ছেন। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও জয়প্রকাশ মজুমদারকে সমর্থন করেছেন। তিনি জানান, বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা টুইটে যা লিখেছেন তা ঠিকই বলেছেন।