অর্ণব দাস: আড়িয়াদহ কাণ্ডের ৪ দিন পর অবশেষে গ্রেপ্তার জয়ন্ত সিং। বেলঘরিয়া থানার পুলিশ বুধবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে বনহুগলি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরেই জয়ন্তকে আদালতে পেশ করা হবে। যদিও ৪ দিন পর গ্রেপ্তারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। তাদের কথায়, পুলিশ জয়ন্তর টিকিও ছুঁতে পারেনি বরং তিনি আত্মসমর্পণ করেছেন। খাতায় কলমে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পালটা রাজ্যের শাসক দলের দাবি, অপরাধ নিয়ে পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে।
মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় দুই যুবক-সহ একজনের মাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগে চরম উত্তপ্ত হয়েছিল বেলঘড়িয়া থানার আরিয়াদহ কেদারনাথ সিংহ রোড এলাকা। এই ঘটনায় বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও স্থানীয়দের দাবি ছিল, মূল অভিযুক্তরা এখনও অধরা। তাঁদের অভিযোগ, অভিযুক্তরা শাসকদলের ঘনিষ্ঠ। তাঁদের ছত্রছায়ায় এলাকায় দুষ্কৃতীরাজ চালায়। যদিও শাসকদলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। পাড়ায় ফুটবল খেলা নিয়ে গন্ডগোলেরই জেরেই এই ঘটনা বলেই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল। এর পর থেকেউ মূল অভিযুক্ত জয়ন্ত সিংয়ের গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব হয়েছিল এলাকাবাসী। কিন্তু ৪ দিন কেটে গেলেও তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অবশেষে বুধবার গভীর রাতে জয়ন্তকে পাকড়াও করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: বিশ্বজয়ীদের ঘরে ফেরা LIVE UPDATE: বিশেষ জার্সি পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ রোহিত-বিরাটদের]
গ্রেপ্তারি নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ তথা দলীয় মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, গ্রেপ্তারি নয়। আত্মসমর্পণ করেছেন জয়ন্ত। খাতায় কলমে সেটাই গ্রেপ্তারি হিসেবে দেখানো হয়েছে। কংগ্রেসের দাবি, শাসকদল নিজের মুখ বাঁচাতে পুলিশকে গ্রেপ্তারির নির্দেশ দিয়েছে। একই দাবি বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, তৃণমূলের ছত্রছায়ায় জয়ন্ত অপরাধ করত। এখন তৃণমূল মুখ বাঁচাতে গ্রেপ্তারির নির্দেশ দিয়েছে। তাদের পালটা দিয়ে তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র শান্তনু সেনের দাবি, "বিরোধী পায়ের তলায় মাটি হারিয়ে পাগলের প্রলাপ করছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ যে কোনও অপরাধেই জিরো টলারেন্স নীতি চলেছে।"