সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার নাতি তথা জেডিএস সাংসদ প্রজ্জল রেভান্নার (Prajwal Revanna) অশ্লীল ভিডিও ফাঁস! অভিযোগ ঘিরে শোরগোল শুরু হতেই ঘটনার তদন্তে সিট (SIT) গঠন করে কর্নাটক সরকার। এর পরই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল রেবন্নার বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে কর্নাটকে (Karnataka) লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ইস্যুতে রীতিমতো চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
গত ২৬ এপ্রিল লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার দিনদুয়েক আগে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় প্রজ্জল রেভান্নার অশ্লীল ভিডিও। সেখানে দেখা যায়, এক মহিলাকে রীতিমতো যৌন নির্যাতন করছেন জেডিএস সাংসদ। এবং সেই মুহূর্তের ভিডিও করা হচ্ছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর ওই ভিডিওর তদন্তের দাবিতে সরব হয় রাজ্য মহিলা কমিশন। আবেদন জানানো হয়, সিট গঠন করে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করুক সিদ্দারামাইয়া সরকার। মহিলা কমিশনের আবেদনের ভিত্তিতে সরকার সিট গঠন করতেই জানা যায়, রেভান্না বেঙ্গালুরু ছেড়ে জার্মানি চলে গিয়েছেন। ভোটের আগে এই ঘটনায় রীতিমতো চাপে পড়েছে জেডিএস। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দলের তরফে সকাল ১১টা নাগাদ জরুরি বৈঠকও ডাকা হয়। এদিকে এই ঘটনায় জেডিএস ও বিজেপি দুই দলের তরফেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘দিল্লির রাবড়ি দেবী’, সুনীতাকে কটাক্ষ করে রাজধানীতে পোস্টার বিজেপির]
যদিও এই ভিডিওকে 'ভুয়ো' বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত সাংসদ প্রজ্জল রেভান্না। পাশাপাশি জেডিএসের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, রেভান্নার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পরিকল্পিতভাবে এই ভিডিওতে ডিপ ফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে রেভান্নার মুখ ব্যবহার করা হয়েছে। নবীন গৌড়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে জেডিএসের দাবি, নবীন লোকসভা ভোটের আগে দলকে বদনাম করতে পেনড্রাইভ, সিডি, হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে এই ভিডিও ছড়িয়েছেন। এবং জেডিএসকে ভোট না দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছেন। এহেন টালমাটাল পরিস্থিতির মাঝেই প্রজ্জল জার্মানি চলে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও গুরুতর আকার নিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসেই জেডিএস কংগ্রেসের হাত ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে জোট তৈরি করে।
[আরও পড়ুন: ‘কেউ ধর্ম পরিবর্তনের চেষ্টা করলে মাথা কেটে নিন’, নিদান বিজেপি বিধায়কের]
এদিকে রেভান্নার অশ্লীল ভিডিওর ঘটনায় মুখ খুলেছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, 'প্রজ্জল রেভান্নার অশ্লীল ভিডিও মামলায় বিশেষ তদন্ত দল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। হাসান জেলায় অশ্লীল ভিডিওগুলি ঘুরছে। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন মহিলা। যার ভিত্তিতেই মহিলা কমিশনের তরফে সরকারের কাছে সিট গঠন করে তদন্তের আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করেছে সরকার।'