সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁদের প্রিয় কমরেড, এখন হাসপাতালের বিছানায়। সংকট এখনও কাটেনি। ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আগামী তিনদিন কড়া ভেন্টিলেশন পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। শনিবার বিকেলে বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর হাসপাতালে ভরতি হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যজুড়ে তাঁর আরোগ্য কামনায় ব্রতী হয়েছেন অগণিত মানুষ। আমজনতার পাশাপাশি বামমতাদর্শে বিশ্বাসী দুই তারকা অনীক দত্ত, জীতু কামালও কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।
জিতু কামাল ছাত্রজীবনে সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করতেন। চিরকাল বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী তিনি। এদিন সমাজ মাধ্যমের পাতায় বুদ্ধবাবুর সুস্থতা কামনা করে অভিনেতা লিখেছেন, “প্রিয় কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন। আপনার পথ চেয়ে রইলাম।” এদিকে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছবি শেয়ার করে অনীক দত্তর মন্তব্য, “ভালো থাকুন স্যার।” উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে টলিপাড়ার এই দুই তারকাকেই বাম শিবিরের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে দেখা গিয়েছিল। মাঝেমধ্যেই তৃণমূল, বিজেপিকে সরাসরি কটাক্ষ করেন অনীক দত্ত। জিতুর ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয় না। এবার বাংলার বামশিবিরের অন্যতম স্তম্ভেরল অসুস্থতায় মন খারাপ দুই তারকার। খবর নেওয়ার পাশাপাশি, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দ্রুত আরোগ্যও কামনা করেছেন বামপন্থী দুই তারকা জিতু কামাল, অনীক দত্ত।
[আরও পড়ুন: ‘রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে অভিনয়ে নামুন’, সেচমন্ত্রী পার্থকে ফোন শাশ্বতর, কী জবাব এল?]
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজে আক্রান্ত রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ফুসফুসের এ অসুখে প্রধান উপসর্গ লাগাতার কাশি আর শ্বাসকষ্ট। ঋতু পরিবর্তনের সময়ে একটুতেই ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সামান্য হাঁটাহাঁটি করলেই হাঁফ ধরে যায়। যে কারণে বাড়ি থেকে বেরনোই বন্ধ করে দিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বিগত ৫ দিন ধরেই নাকি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। পরে শনিবার পারিবারিক চিকিৎসক, ফুসফুস রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কৌশিক চক্রবর্তী বুদ্ধবাবুকে পরীক্ষা করে বলেন, ‘‘এক্ষুনি হাসপাতালে ভরতি করতে হবে।’’ রক্তে অক্সিজেনের স্বাভাবিক মাত্রা ৯৩/৯৪। বুদ্ধবাবুর তা নেমে গিয়েছিল ৭০-এ। শনিবার বিকেল ৪টে ২২ মিনিট নাগাদ গ্রিন করিডর করে পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। আপাতত তাঁর ঠিকানা উডল্যান্ডসের কেবিন নম্বর ৫১৬।