স্টাফ রিপোর্টার: নিছক দুর্ঘটনা নয়, ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনামাফিক আগুন লাগানো হয়েছিল জেশপ কারখানায়৷ বৃহস্পতিবার টানা কয়েক ঘণ্টা জেশপে তদন্ত করার পর সিআইডির গোয়েন্দা কর্তাদের এ কথাই জানিয়ে দিলেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা৷ পাশাপাশি জেশপ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি বোঝাই একটি আলমারিও পুড়িয়ে দেওয়া হয়৷ তবে কি কোনও গোপন নথি লোপাট করতেই রহস্যজনক এই অগ্নিকাণ্ড? উত্তর খুঁজতে আজ, শুক্রবার জেরার জন্য জেশপের কর্ণধার পবন রুইয়াকে ভবানী ভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছে৷ সেই সঙ্গে জেরার জন্য ডাকা হয়েছে কারখানার জেনারেল ম্যানেজার অশোক আগরওয়াল এবং প্রাক্তন ফিনান্স ম্যানেজার মহেশ গুপ্তাকেও৷
এদিন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে তদন্তের কাজে জেশপ কারখানায় যান সিআইডির গোয়েন্দা কর্তারা৷ পাশাপাশি চুরি কাণ্ডে ধৃত চারজনকে কারখানায় নিয়ে গিয়ে ঘটনার ‘রিকনস্ট্রাকশন’ বা পুনর্গঠন করেন গোয়েন্দারা৷ কারখানার চারটি জায়গায় আগুন লাগানো হয়েছিল৷ তার মধ্যে ছিল ওয়ার্কশপও৷ অগ্নিদগ্ধ সমস্ত জায়গা ঘুরে দেখেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও সিআইডির গোয়েন্দারা৷ ঘটনাস্থল থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি সংগ্রহ করেন ফরেনসিক কর্তারা৷ ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার পর সিআইডিকে ফরেনসিক দল পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, প্রাথমিক তদন্তে এটাই প্রমাণিত হচ্ছে যে, কারখানার চারটি জায়গায় দাহ্য পদার্থ দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ এমনকী পুড়ে যাওয়ার ফলে অগ্নিদগ্ধ আলমারি থেকে কারখানা সংক্রান্ত কোনও নথিই সংগ্রহ করতে পারেনি সিআইডি৷ ধৃত চারজনকে নিয়ে ঘটনার পুনর্গঠনের পর গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, কারখানার ভিতর থেকে চুরির পর যন্ত্রাংশ পাচার হত ১২ নম্বর গেট দিয়ে৷ কারখানার সদর দফতর এখন তালাবন্দি৷ তার চাবি এখনও পর্যন্ত হাতে পায়নি সিআইডি৷ এর ফলে অফিস থেকে কোনও নথি বের করতে পারেনি ভবানী ভবন৷
আজ পবন রুইয়া, অশোক আগরওয়াল এবং মহেশ গুপ্তাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে৷ সেই সঙ্গে জানতে চাওয়া হবে অফিসের চাবি কার কাছে রয়েছে৷ সেই চাবি হাতে পাওয়ার পর অফিস থেকে নথি সংগ্রহ করবেন গোয়েন্দারা৷
The post পরিকল্পনামাফিক আগুন লাগানো হয়েছিল জেশপে appeared first on Sangbad Pratidin.