সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজো মানেই কেনাকাটা। উৎসবের মরশুমে অনেকেই কেনেন সোনা। কিন্তু করোনা কালে দোকানে গিয়ে সোনার গয়না কিনতে নারাজ অনেকেই। তাই অনলাইনই ভরসা। এবার মাত্র ১০০ টাকার বিনিময়ে মিলছে স্বর্ণালঙ্কার। বিভিন্ন স্বর্ণালঙ্কার বিপণি ও সংস্থা অনলাইনে ন্যূনতম মাত্র একশো টাকায় সোনা (Gold) কিনতে ক্রেতাদের সুযোগ দিচ্ছে। গ্রাহকদের থেকে সাড়াও মিলছে দুর্দান্ত। উৎসবের মরশুমে এমন সুযোগ পেয়ে আত্মহারা গয়নাপ্রেমীরা।
গত বছর করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের সময় থেকেই বদলে গিয়েছে বিশ্ব। এটাই প্রত্যাশিত ছিল যে মানুষের জীবন আর করোনা কালের আগের মতো থাকবে না। তারই প্রভাব পড়েছে স্বর্ণালঙ্কারের বাজারেও। গতবছর দেশজুড়ে লকডাউনের সময়ে সোনা বিক্রি ভীষণভাবে কমে গিয়েছিল। কিন্তু সেই লকডাউনই আবার দেশে অনলাইন সোনার বাজারের দরজা খুলে দিয়েছে। মিলছে অনেক বেশি ছাড়ও।
[আরও পড়ুন: এবার ইন্টারনেট ছাড়াও স্মার্টফোনের মাধ্যমে সহজেই টাকা পাঠাতে পারবেন, জানেন কীভাবে?]
টাটা গোষ্ঠীর তানিষ্ক, কল্যাণ জুয়েলার্স ইন্ডিয়া লিমিটেড, পি সি জুয়েলার্স লিমিটেড এবং সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস সরাসরি তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বা টাই-আপ থাকা ডিজিটাল গোল্ড প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সোনা কেনার সুযোগ দিতে চলেছে। তাও মাত্র ন্যূনতম ১০০ টাকার বিনিময়ে। এভাবে কিনে কমপক্ষে এক গ্রাম সোনা হয়ে গেলেই তা গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
ডিজিটাল সোনা কেনা এখন আর অবশ্য ভারতে নতুন নয়। মোবাইল ওয়ালেটগুলি ছাড়াও আগমন্ট গোল্ড ফর অল, ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের সেফ গোল্ড এই ধরনের পরিষেবা দিয়ে থাকে বিনিয়োগকারীদের। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেই সোনা কেনা ও বিক্রি করা যায়। বিনিয়োগ হিসাবে যাঁরা সোনা কেনেন, তাঁদের কাছে সবচেয়ে বড় সুবিধার হল এক্ষেত্রে মেকিং চার্জ দিতে হয় না বা বিক্রির সময়েও মেকিং চার্জ কাটা হয় না। বিভিন্ন স্বর্ণবিপণি তাদের নীতি অনুযায়ী, পুরনো সোনার গয়না কেনার সময় যে সামান্য সোনা বাদ দিয়ে হিসাব করে, এখানে তেমনটা হয় না।
[আরও পড়ুন: বিকট শব্দে ফাটল চার্জার, OnePlus-এর জনপ্রিয় স্মার্টফোন কিনে বিপাকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়র]
তবে স্বর্ণবিপণিগুলি এতদিন এই পদ্ধতিতে ডিজিটাল সোনা বিক্রি থেকে দূরে সরে ছিল। তারা নিজেদের দোকানের চার দেওয়ালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছিল। তাদের ধারণা ছিল, হয়তো অনেকটা সত্যিই, এখনও ভারতীয় ক্রেতা দোকানে গিয়ে জিনিস নেড়েচেড়ে দেখেই সোনা কিনতে বেশি উৎসাহী। আগমন্ট গোল্ড-এর ডিরেক্টর কেতন কোঠারি বলেন, “কোভিড স্পষ্টতই অনেক স্বর্ণালঙ্কার বিপণন সংস্থার মানসিকতার পরিবর্তন ঘটিয়েছে। লকডাউনের সময় দোকান খোলা রাখা না গেলেও তারা অনলাইনে সোনা বিক্রি করেছে। কাজেই এটা সম্পূর্ণভাবে মানসিকতার প্রসার।” পুজোর মরশুমে এই অনলাইনে বিকিকিনি বাজারকে আরও চাঙ্গা করবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।