সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হেলিকপ্টার ওড়ার অনুমতি দেয়নি নির্বাচনী কমিশন। যার জেরে শেষ দিনের প্রচারে যেতে পারলেন না ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী কল্পনা সোরেন (Kalpana Soren)। এই ঘটনায় কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে সরব হলেন তিনি। জানালেন, ওরা যতই চেষ্টা করুক আমাদের আটকাতে পারবে না। যদিও হেলিকপ্টারের জন্য প্রচারে যেতে না পারলেন ফোনেই ভাষণ দিলেন তিনি।
আগামী ১৩ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডে প্রথম দফার বিধানসভা নির্বাচন। সেই মতো ১১ নভেম্বর সোমবার ছিল প্রচারের শেষ দিন। পশ্চিম সিংভূম জেলার জগন্নাথপুর বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচারে যাওয়ার কথা ছিল কল্পনার। তবে কল্পনার হেলিকপ্টার ওড়ার অনুমতি দেয়নি কমিশন। ঘণ্টাখানেকেরও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করার পরও অনুমতি না পাওয়ায়, শেষে গাড়িতে বসেই ফোনে ভাষণ দেন তিনি। বিজেপিকে তোপ দেগে কল্পনা বলেন, 'ওরা যতই চেষ্টা করুক না কেন, কোনও শক্তি ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাকে ক্ষমতায় আসা থেকে আটকাতে পারবে না।'
এদিকে কল্পনার হেলিকপ্টার আটকে রাখা প্রসঙ্গে ঝাড়খণ্ডের প্রধান নির্বাচনী আধিকারিক রবি কুমার বলেন, 'ওড়িশার কাছে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান চলাচলের কারণে প্রায় এক ঘণ্টা ঘাটশিলায় হেলিকপ্টারটিকে উড়তে দেওয়া হয়নি।' তবে বায়ুসেনার বিমান চলাচলের জন্য এত দীর্ঘ সময় ধরে কপ্টার উড়তে না দেওয়ার ঘটনা যে স্বাভাবিক নয় তা মেনে নিচ্ছেন আধিকারিকরা। রবি কুমার বলেন, 'এই ঘটনায় এক আধিকারিককে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়েছে।'
এদিকে ফোনে ভাষণ দেন কল্পনা। সেখানে গেরুয়া শিবিরকে তোপ দেগে বলেন, 'বিজেপি চায় না মহিলারা শিক্ষিত হোক, এবং শারীরিক-মানসিকভাবে শক্তিশালী হোক। বিজেপি এখানে ২০ বছর ধরে শাসন করেছে অথচ আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য কিছু করেনি। এখানে একটার পর একটা স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি ধনীদের দল। তাই আদিবাসীদের ঘৃণা করে ওরা। আমাদের সংস্কৃতি নষ্ট করতে চায় ওরা। অন্যদিকে, হেমন্ত সরকার ক্ষমতায় এসে রাজ্যের ৪০ লক্ষ মানুষকে পেনশন ও ২৫ লক্ষ মানুষকে পাকা বাড়ি দিয়েছে।'