সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খনি দুর্নীতি মামলায় গভীর সংকটে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে রিপোর্ট পেশ করেছে নির্বাচন কমিশন। শোনা যাচ্ছে, শনিবার যে কোনও মুহূর্তেই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করে দিতে পারেন রাজ্যপাল। এহেন পরিস্থিতিতে বিজেপি (BJP) যাতে দল ভাঙাতে না পারে, তাই জোটসঙ্গী বিধায়কদের ছত্তিশগড়ের রায়পুরের মেফেয়ার হোটেলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালের মধ্যেই ঝাড়খণ্ডের বিধায়করা হোটেলে পৌঁছে যাবেন। ইতিমধ্যেই ওই হোটেলটির সমস্ত ঘর খালি করে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে কোনও রুমই বুকিংয়ের জন্য নেওয়া হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে হবে হেমন্তকে। সেই সঙ্গে মন্ত্রিসভাকেও পদত্যাগ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে গেলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে ফের নির্বাচনে জিতে আসতে হবে। তবে তাঁর দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাকে জানিয়ে দিতে হবে, হেমন্তই দলের নেতা।
[আরও পড়ুন: বিএসএফের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে গণধর্ষণ ইস্যুতে পথে নামছে তৃণমূল, রবিবার বাগদায় প্রতিবাদ মিছিল]
নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ জানার পরে টুইট করেন হেমন্ত সোরেন। লেখেন, ‘আমি ক্ষমতালোভী নই। তবে সাংবিধানিক পদগুলি ব্যবহার করে মানুষের উন্নতির জন্য কাজ করতে চাই।’ সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘রাজনৈতিক ভাবে প্রতিপক্ষরা পেরে উঠছে না বলেই এইভাবে হেনস্তা করছে।’
গত সোমবার নির্বাচন কমিশন তাদের শুনানি শেষ করে। মঙ্গলবার রাজ্যপাল রমেশ ব্যাসের কাছে তাঁর মতামত চাওয়া হয়। সূত্রানুসারে, পরের দিন রাজ্যপাল পরদিন ওই রিপোর্টটি পান। নিশিকান্ত দুবে টুইট করে জানিয়ে দেন, রাজ ভবনে পৌঁছে গিয়েছে কমিশনের রিপোর্ট। এদিকে এর আগে সোরেনের দল জেএমএম অভিযোগ করেছিল তাঁদের ১২ জন বিধায়ককে ভাঙাতে চাইছে বিজেপি। যদিও বিজেপি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। যত সময় যাচ্ছে, ততই ঝাড়খণ্ডের ‘রাজনৈতিক নাটক’ উঠছে।
এদিকে এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ”বিজেপি ম্যাজিক ফিগার পাবে না। বিজেপি তাই অ-বিজেপি রাজ্যে ডিস্টার্ব করার চেষ্টা করছে। এরপর অমুক, এরপর অমুক বিজেপি বলে বেড়াচ্ছে। বিজেপি মরিয়া চক্রান্ত করছে। ব্যাকডোর পলিটিক্স করছে বিজেপি।”