সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: বিজেপিতে যোগ নয়। সম্ভবত নতুন দল গড়তে চলেছেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন। বিহারের জিতন রাম মাঝিঁ পর্বের পুনরাবৃত্তি হতে পারে ঝাড়খণ্ডে। তবে বুধবার তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, জেএমএম ছাড়ছেন। তিনি অন্য কোনও দল, অর্থাৎ বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না। তবে রাজনৈতিক বাণপ্রস্থেও যাচ্ছেন না। নতুন দল তৈরি করে সমমনস্ক দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ঝাড়খণ্ডে কাজ করবেন বলে ঘোষণা করেছেন তিনি।
দুর্নীতি মামলায় হেমন্ত সোরেন জেলবন্দি হওয়ার পর রাজ্যভার উঠেছিল চম্পাইয়ের কাঁধে। তবে হেমন্তের জেলমুক্তির পর মুখ্যমন্ত্রীর কুরসি হারানো তো বটেই, দলেও নাকি কোণঠাসা চম্পাই সোরেন। যেভাবে কার্যত ‘ঘাড়ধাক্কা’ দিয়ে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাতেও অসন্তুষ্ট চম্পাই। যদিও প্রকাশ্যে এসব কোনও কথাই বলেননি ঝাড়খণ্ডের বাঘ।
[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রের রোষে যুবক থেকে বৃদ্ধ! বাংলাদেশে ৩৭ বছর কারাবাসের পর ঘরে ফিরলেন শাহজাহান]
সম্প্রতি দলত্যাগের ইঙ্গিত দিয়ে দিল্লি আসেন চম্পাই। জানান, তাঁর জন্য সব ধরনের দরজা খোলা রয়েছে। সূত্রের খবর, এখানে অমিত শাহ-সহ বিজেপির প্রথম সারির বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তিনি। এরপরই রটতে থাকে জেএমএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন চম্পাই। যদিও সেই জল্পনা নিজেই উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। চম্পাই বলছেন, “নতুন সংগঠন তৈরি করে বন্ধুদের সঙ্গে গুরুজি (শিবু সোরেন)-র দেখানো পথে ঝাড়খণ্ডের উন্নতির কাজ করে যাব।" বস্তুত, ঠিক যেভাবে বিহারে নীতীশ কুমার জিতন রাম মাঝিঁর হাতে দায়িত্ব ছেড়ে যাওয়ার পর প্রত্যাবর্তনের পর তাঁর সঙ্গে মনোমালিন্য হয় নীতীশের। শেষ জেডিইউ ছেড়ে নিজের আলাদা দল ঘোষণা করেন তিনি। একইভাবে চম্পাই সোরেনও পৃথক দলগঠনের সিদ্ধান্ত নিলেন।
[আরও পড়ুন: এবার ছত্তিশগড়, ১৭ জন মিলে আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণ! গ্রেপ্তার ৬]
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শেষেই ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে চম্পাই যদি নতুন দল তৈরি করে বিজেপির দিকে ঝুঁকে যান, তবে রাজ্যের জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি-বাম মহাজোটে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই হেমন্ত নিমরাজি হলেও অন্য দলের শীর্ষনেতৃত্বও চম্পাইকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন বলে খবর আসছে ঝাড়খণ্ড থেকে।