সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দাবি করেছিলেন, নিজের চেষ্টায় প্রথমবারেই সর্বভারতীয় সিভিল সার্ভিস (Civil Service Exam) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। সেই অভাবনীয় সাফল্যর কথা শোনার পরই স্থানীয় প্রশাসন, এমনকী সেন্ট্রাল কোলফিল্ড লিমিটেডের (Central Coalfield Ltd) তরফে ঝাড়খণ্ডের ওই পরীক্ষার্থীকে সংবর্ধনাও দিয়েছিলেন। সেই সম্বর্ধনার রেশ কাটতে না কাটতেই প্রকাশ্যে এল আসল সত্য। জানা গেল, ইউপিএসসিতে (UPSC) পাসই করেননি তিনি। সত্য সামনে আসার পর মেয়েটির পরিবারের দাবি, যান্ত্রিক ত্রুটির দরুণ এই বিভ্রান্তি ঘটেছে।
ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা দিব্যা পাণ্ডে (২৪)। ইউপিএসসির ফলপ্রকাশের দিন দিব্যার পরিবার দাবি করেছিলেন, তিনি প্রথমবারের চেষ্টাতেই সর্বভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাস করেছেন। র্যাঙ্ক করেছেন ৩২৩। উল্লেখ্য, দিব্যার বাবা কোলফিল্ডের কর্মী ছিলেন। দিব্যার সাফল্যের খবর ছড়িয়ে পড়তেই তাঁকে সংবর্ধনা দেয় কোলফিল্ড লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। সাফল্যের খবর ছড়িয়ে পড়তেই দিব্যাকে নিজের অফিসে ডেকে সংবর্ধনা দিয়েছিলেন রামগড়ের ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর মাধবী মিশ্রও।
[আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিকে ভরতির ক্ষেত্রে নিয়ম শিথিল, ন্যূনতম নম্বর জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি শিক্ষা সংসদের]
এর দু’দিন পর সামনে এল প্রকৃত তথ্য। জানা গেল, পাসই করেননি দিব্যা। ৩২৩ র্যাঙ্ক করেছেন দক্ষিণ ভারতের দিব্যা পি, ঝাড়খণ্ডের দিব্যা পাণ্ডে নন। বিষয়টি সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। এ প্রসঙ্গে দিব্যার দিদি প্রিয়দর্শনী পাণ্ডে বলেন, “বোনের উত্তরপ্রদেশের এক বান্ধবী ফোন করে জানিয়েছিল, যে দিব্যা ৩২৩ র্যাঙ্ক করেছে। আমরা বারবার ইউপিএসসির সাইটে ফল দেখার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু সাইটে সমস্যা থাকায় ফল দেখতে পারিনি। এটা একেবারেই অনিচ্ছাকৃত ভুল।” তিনি ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন।
এদিকে এই ভুলকে অনিচ্ছাকৃত ভুল বলে মানতে নারাজ জেলা প্রশাসন। তাদের দাবি, “মানুষের ভুলেই এটা ঘটেছে।” তবে দিব্যা বা তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করছে না তারা। পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর দিব্যা জানিয়েছিলেন, স্মার্টফোন আর ইন্টারনেটের সাহায্যে পরীক্ষার প্রস্তুতি সেরেছিলেন তিনি।