সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার দেশজুড়ে কার্যকর হয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা। তার পরেই নয়া আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট। দুই বিচারপতি জানিয়েছেন, গণপিটুনি নিয়ে নতুন আইনের ইউনিভার্সাল লেক্সিসনেক্সিস এডিশনে যা লেখা হয়েছে সেখানে ত্রুটি রয়েছে। যার ফলে ভবিষ্যতে বড়সড় সমস্যা হতে পারে। এই বিষয়টি নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলাও দায়ের করেছে উচ্চ আদালত।
গণপিটুনি নিয়ে কী বলা হয়েছে নয়া আইনে? ১০৩ (২) ধারা অনুযায়ী, 'পাঁচ জন বা তার বেশি ব্যক্তির দল যদি বর্ণ,জাতি,লিঙ্গ, জন্মস্থান, ভাষা, বিশ্বাস বা এই ধরনের অন্য কোনও কারণে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করে, তাহলে তাদের মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হবে।' বড় অঙ্কের জরিমানাও করা হতে পারে। কিন্তু গণপিটুনি আইনের লেক্সিসনেক্সিস সংস্করণে 'এই ধরণের অন্য কারণ' কথাটির পরিবর্তে লেখা হয়েছে 'অন্য যেকোনও কারণ'।
[আরও পড়ুন: দেশে এই প্রথম গণপ্রহারে কড়া আইন, জানিয়েছেন শাহ, কোন শাস্তি হবে অপরাধীর?]
এই শব্দের হেরফেরেই আগামী দিনে বড়সড় সমস্যা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ঝাড়খণ্ড উচ্চ আদালতের (Jharkhand High Court) দুই বিচারপতি। আনন্দ সেন এবং সুভাষ চাঁদ বলেন, একটি সংস্করণে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইনের ১০৩ (২) ধারাটি ভুলভাবে লেখা হয়েছে। সেই ত্রুটির কারণে আগামী দিনে বড়মাপের ধাক্কা লাগতে পারে। দুই বিচারপতির বেঞ্চ ইতিমধ্যেই ওই সংস্করণের প্রকাশককে নোটিস পাঠিয়েছে। প্রকাশকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এই ত্রুটি সংশোধন করে জাতীয় এবং আঞ্চলিক সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিতেও বলা হয়েছে প্রকাশককে।
উল্লেখ্য, এই প্রথমবার গণপিটুনি নিয়ে আইন প্রণয়ন হয়েছে দেশে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (Bharatiya Nyaya Sanhita) কার্যকর হওয়ার পরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, গণপ্রহারের অপরাধে এবার মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। আগে আইনে গণপ্রহার নিয়ে কোনও বিধান ছিল না। তবে নতুন আইনে গণপ্রহারকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, ‘‘নতুন আইনে সাজার থেকে সাধারণ মানুষ যাতে ন্যায় পান— সেটাই দেখা হয়েছে।’’