চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: পুরপ্রশাসক ও দলের সভাপতি পদ ত্যাগ করার পর বেশ কয়েকদিন ঠান্ডা ঘরে ছিলেন। ঘটনার ১১ দিন পর বাইরে এলেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র। রবিবার তাঁকে দেখা গেল অরাজনৈতিক সংগঠনের কর্মসূচিতে। দলত্যাগ নিয়ে এত টানাপোড়েনের পর অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগদিন নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও সেসবকে গুরুত্ব দিতে নারাজ জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)
জিতেন্দ্র তিওয়ারির রাজনৈতিক ভবিষ্যত কী, তা এখনও পরিষ্কার নয়। তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার দু’দিনের মধ্যে দলে ফিরলেও এখনও আসানসোল পুরনিগমের পুরপ্রশাসক ও জেলা সভাপতির পদ তিনি ফিরে পাননি। তারই মধ্যে রবিবার আসানসোল শহরে তিনি পা মেলালেন আদিবাসী সংগঠনের ডাকা একটি মিছিলে। সাঁওতালদের পৃথক “সারীধরম” কোডের দাবিতে এদিন আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে সারীধরম মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই উপলক্ষেই মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। আসানসোল পুরনিগমের সামনে থেকে শুরু হওয়া সেই মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
[আরও পড়ুন: বিলে বড়সড় কারচুপির অভিযোগ, দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালে বন্ধ বিমা সংস্থার সুবিধা]
আদিবাসীদের মিছিলে অংশ নেওয়ার পরে জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, “আমাকে একমাস আগে উদ্যোক্তাদের তরফে এদিন থাকার জন্য বলা হয়েছিল। আমি তাঁদের দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করছি। তাঁদের এই অধিকার পাওয়া উচিত। আদিবাসীদের সারিধরম মহাসম্মেলনের এই মিছিলে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের প্রচুর আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজনের যোগ দেন।” এই অরাজনৈতিক সভা কী ফের দলত্যাগের ইঙ্গিত? জিতেন্দ্র তিওয়ারির সাফ কথা, “দিদির সঙ্গে ছিলাম, আছি।” উল্লেখ্য, বিবার দুর্গাপুরে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের অতিথিশালায় ফোরামের এক্সিকিউটিভ কমিটির বৈঠকের পর ‘দুর্গাপুর সিটিজেন্স ফোরাম’ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী ও জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে।