সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার পাকিস্তানের (Pakistan) কাছে হারতে হয়েছে ভারতকে। বিশ্বকাপের আসরে প্রথমবার। আর সেই ম্যাচে পাকিস্তানের হয়ে গলা ফাটাতে গেল জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) মেডিক্যাল ছাত্রীদের। তাঁদের উচ্ছ্বাস প্রকাশের ভিডিও ভাইরাল হতেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রুজু হল।
ঠিক কী অভিযোগ ওই ছাত্রীদের বিরুদ্ধে? শ্রীনগরের মেডিক্যাল কলেজ ও শ্রী কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসের গার্লস হস্টেলে পড়ুয়া তরুণীদের দেখা গিয়েছে পাকিস্তানের জয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠতে। ভিডিওয় তাঁদের পাকিস্তানের জয়ধ্বনি দিতে দেখা গিয়েছে। ওই তরুণীদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে পাকিস্তানের জয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশের জের, রাজস্থানে চাকরি গেল শিক্ষিকার]
এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের পিপলস কনফারেন্স দলের পাকিস্তানপন্থী নেতা সাজ্জাদ লোন টুইটারে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁর মতে, অন্য কোনও দলের হয়ে গলা ফাটানো মানেই এটা প্রমাণ হয়ে যায় না তারা কেউ দেশভক্ত নয়।
এদিকে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি প্রশ্ন তুলেছেন, কেন পাকিস্তানের জয়ে কাশ্মীরিদের উচ্ছ্বাস প্রদর্শনকে ঘিরে এত রাগ দেখানো হচ্ছে। মেহবুবার এহেন প্রশ্নের পরে তাঁকে খোঁচা দিয়ে হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, মেহবুবার ডিএনএ-তে গণ্ডগোল রয়েছে। তাঁর কথায়, ”মেহবুবা মুফতির ডিএনএ-তে গণ্ডগোল রয়েছে। তাঁকে প্রমাণ করতে হবে তিনি কতটা ভারতীয়।”
[আরও পড়ুন: কোটিপতি স্বামীকে ছেড়ে অটোচালক প্রেমিকের সঙ্গে পালালেন গৃহবধূ]
ঠিক কী লিখেছিলেন মেহবুবা? তাঁকে টুইটারে লিখতে দেখা যায়, ”কেন পাকিস্তানের জয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করা কাশ্মীরিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানানো হচ্ছে? অনেকে রীতিমতো শ্লোগান তুলছে, দেশদ্রোহীদের গুলি মারো। কারও ভোলা উচিত নয়, যেদিন জম্মু ও কাশ্মীরের স্পেশাল স্ট্যাটাস তুলে নেওয়া হয়েছিল, সেদিন অনেকে মিষ্টি বিতরণ করেছিলেন।”
এদিকে রবিবার পাকিস্তানের জয়ের পরে রাজস্থানের এক স্কুলশিক্ষিকাকেও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়। তিনি এই নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে স্টেটাস দিয়েছিলেন। পরে সেই স্টেটাসের স্ক্রিনশট ভাইরাল হতেই বরখাস্ত করা হয় তাঁকে।