অর্ণব আইচ: দক্ষিণ ভারতে চেন্নাই মডিউল তৈরি করেছিল জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)। চেন্নাইয়ে ধৃত জেএমবি নেতা আসাদুল্লা শেখকে জেরা করে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেলেন গোয়েন্দারা। এই চেন্নাই মডিউলের দায়িত্বে ছিল আসাদুল্লা শেখ। মঙ্গলবার চেন্নাই থেকে জেএমবি জঙ্গি নেতা আসাদুল্লা শেখকে গ্রেপ্তার করেন এসটিএফের গোয়েন্দারা।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মূলত ইটভাটার শ্রমিকদের মগজধোলাইয়ের কাজ করত আসাদুল্লা। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের ডাঙাপাড়ায় তার বাড়ি। খাগড়াগড় কাণ্ডের পর সে বাড়িছাড়া ছিল। পরিবারের লোকজন জানান, আসাদুল্লার সঙ্গে দীর্ঘদিন কোনও যোগাযোগ নেই। চেন্নাইতে কাজ করছে বলে জানায়। কিন্তু কী কাজ করত, তা জানায়নি। এর আগে জেএমবির মাথা বোমারু মিজান ওরফে কওসর মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান মডিউল ও আরও কয়েকজনকে চেন্নাইয়ের কাছে একটি গ্রামে নিয়ে গিয়ে বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়। তখনই চেন্নাই মডিউলের কাজ শুরু হয়। কিন্তু গোয়েন্দাদের প্রচেষ্টায় সেই মডিউল ভেঙে যায়।
গোয়েন্দারা জেনেছেন, ফের চেন্নাইয়ে আসাদুল্লা চেন্নাই মডিউলের কাজে হাত দেয়। জানা গিয়েছে, চেন্নাইয়ে সে স্লিপার সেলও তৈরি করেছিল। জেএমবির বেশ কয়েকজন জঙ্গিকে সে আশ্রয় দেওয়ারও ব্যবস্থা করেছিল। ধৃত জেএমবি নেতার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত পেনড্রাইভ এবং ল্যাপটপ থেকে পাওয়া গিয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এদিকে, এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেএমবি মডিউলের সদস্যরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত প্রোটেক্টেড টাস্কের মাধ্যমে সংকেত পাঠিয়ে। কোনও সিমকার্ড ছাড়া শুধু ইন্টারনেট কাজে লাগিয়েই এই কাজ করত তারা। এর ফলে তাদের কথোপকথন গোপনই থাকত। নির্দিষ্ট আইডি ও পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে অপারেট করা হত। কাজ শেষ হয়ে গেলে পাসওয়ার্ড বদলে ফেলা হত। জেএমবির জঙ্গিনেতা ইজাজ আহমেদকে জেরা করে এই বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য জানা গিয়েছে। আরও অন্তত সাতজন জঙ্গি নেতার সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।