সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে বহুচর্চিত আগ্নেয়াস্ত্র হিংসা বিলে (Gun violence bill) স্বাক্ষর করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। বৃহস্পতিবারই মার্কিন সেনেটে পাশ হয়ে গিয়েছিল বিলটি। এরপর শুক্রবার মিলেছিল হাউসের চূড়ান্ত সম্মতি। এবার সেই বিলে সই করলেন বাইডেনও। যার ফলে বিলটি পরিণত হল আইনে। তৈরি হল এক ঐতিহাসিক এক মুহূর্ত।
গত কয়েক সপ্তাহে বারবার বন্দুকবাজদের হানায় আক্রান্ত হয়েছে আমেরিকা (US)। এলোপাথাড়ি গুলির শিকার হয়েছেন নিরীহ মানুষ। এমনকী, স্কুলের ছোট্ট শিশুরাও রেহাই পায়নি বন্দুকবাজদের হাত থেকে। বারবার এই ধরনের হামলায় অধিকাংশ মার্কিন নাগরিকই আঙুল তুলেছেন আমেরিকার বন্দুক নীতির দিকে। এই পরিস্থিতিতে বহু প্রতীক্ষিত আগ্নেয়াস্ত্র বিলটি মার্কিন প্রেসিডেন্টের অনুমোদন পাওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন: ইস্তফা দেবেন না উদ্ধব ঠাকরে, কার্যনির্বাহী বৈঠকের আগে দাবি সঞ্জয় রাউতের]
ইউরোপে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন বাইডেন। কিন্তু হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে বিল স্বাক্ষরের কাজটি সম্পন্ন করলেন তিনি। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, ”যদিও এই বিল আমি যা চেয়েছিলাম তার সবটা করতে পারবে না। কিন্তু এতে সেই পদক্ষেপগুলি রয়েছে যার কথা আমি দীর্ঘ সময় ধরে বলে আসছি। এটি জীবন বাঁচাবে।”
সেই সঙ্গে বাইডেন জানাচ্ছেন, ”আমি জানি এখনও অনেক কাজ বাকি। কিন্তু আমি আশা ছাড়ছি না। আজকের দিনটি একটি ঐতিহাসিক দিন।” আগামী ১১ জুলাই একটি অনুষ্ঠানের কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে বন্দুকবাজদের হামলায় নিহত পরিবারের সদস্যরা যোগ দেবেন। থাকবেন আইনজীবীরাও।
উল্লেখ্য, ১৮ বছর বয়স হলেই বন্দুক কিনতে পারেন সাধারণ মানুষ। সেই নিয়ম বদলের জন্য গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে (USA Protest) শামিল হলেন মার্কিন নাগরিকরা। অবিলম্বে এই নিয়ম পালটে দিক সরকার, এই দাবিতে প্রায় হাজার মানুষ মিছিল করেছেন আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে। কিন্তু মনে করা হচ্ছিল, এই আইন পাশ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম। কেননা রিপাবলিকানরা এর বিরোধিতা করবে।
কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে বারবার বন্দুকবাজের হামলার ঘটনায় চাপ বেড়েছে। ক্রমশ কঠিন হয়েছে পরিস্থিতি। যেনতেনপ্রকারেণ এই ধরনের হামলার হাত থেকে মুক্তি পেতে মরিয়া সাধারণ মার্কিন নাগরিকরা। সূত্রের দাবি, গত কয়েকদিন ধরে রিপাবলিকান নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত রুদ্ধদ্বার বৈঠকও করেছেন ডেমোক্র্যাটরা। মনে করা হচ্ছে, এরপরই একটা সাম্যের অবস্থানে পৌঁছনো গিয়েছে।