সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে যখন তুরস্কের দাবি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) থামতে চলেছে, পুতিন ও জেলেনস্কি রফাসূত্রের পথে এগোচ্ছে। সেই সময়েই যুদ্ধ পরিস্থিতি সামাল দিতে ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। হোয়াইট হাউজ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী শুক্রবার পোল্যান্ডে যাচ্ছেন বাইডেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান নিয়ে তিনি পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদার সঙ্গে কথা বলবেন।
হোয়াইট হাউজ এই বিষয়ে একটি প্রেস বিবৃতিও প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, রাশিয়া অনৈতিকভাবে ও বিনা প্ররোচনায় ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এর ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে ও মানবিক সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। বিষয়টিতে আমেরিকা ও ন্যাটোর সদস্য দেশগুলির কী প্রতিক্রিয়া, তা নিয়েই পোল্যান্ড সফরে আলোচনা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
[আরও পড়ুন: যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে গতিপথ বদল, দিল্লি-দোহা যাত্রীবাহী বিমান ঘুরিয়ে দেওয়া হল করাচির দিকে]
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন পেনস্কি আরও জানিয়েছেন, পোল্যান্ডে যাওয়ার আগে বেলজিয়াম সফরে যাবেন বাইডেন। সেখানে তিনি ন্যাটো, জি-৭ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়েই আলোচনা হবে এই বৈঠকে। হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জানিয়েছেন, পুতিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের জনগণের সমর্থনে বাকি বিশ্বকে একজোট করাই মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সফরের উদ্দেশ্য। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে যাবেন না বলেই জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতেউজ মোরাউইকি চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে গিয়েছিলেন। এদিকে এই মাসের শুরুতেই মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ওয়ারশতে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেন। উভয়েই ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক পদক্ষেপের নিন্দা করেন। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের উপর পুতিনের বাহিনীর আগ্রাসনের কড়া নিন্দা করেন কমলা ও মাতেউজ।
[আরও পড়ুন: শীঘ্রই থামতে পারে যুদ্ধ! রফাসূত্রের পথে রাশিয়া-ইউক্রেন, দাবি তুরস্কের]
প্রসঙ্গত, বাইডেনের বেলজিয়াম ও পোল্যান্ড সফরে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের গন্ধ পাওয়া গেলেও তুরস্ক (Turkey) সম্পূর্ণ ভিন্ন দাবি করেছে। তথাপি তুরস্কের দাবি, সমঝোতার দিকে এগোচ্ছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এইসঙ্গে তুরস্কের তরফে জানানো হয়েছে, দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা যদি চান তবে জরুরি বৈঠকের আয়োজন করতে তারা রাজি।