সুকুমার সরকার, ঢাকা: ওরা সাতজন ছাত্র। অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় নাম লেখায় জঙ্গি খাতায়। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। দেশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) সদস্যদের হাতে পাকড়াও সাতজন। ঠাঁই হয়েছে কারাগারে।
বাড়ি থেকে ওই সাতজন টিউশন পড়তে যাবে বলে বেরিয়েছিল। এরপরেই নিখোঁজ হয়ে যায় প্রত্যেকেই। অভিভাবকরা দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শরণাপন্ন হয়। তদন্তে নেমে সাতজনের জঙ্গিযোগের খোঁজ পায় র্যাব। তারপরেই ঢাকা, কুমিল্লা-সহ অন্যান্য অঞ্চল থেকে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তাৎক্ষণিকভাবে আটককৃতদের নাম ও পরিচয় গণমাধ্যমকে জানায়নি র্যাব। বৃহস্পতিবার সকালে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
[আরও পড়ুন: ‘ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করলেই শাস্তি’, সম্প্রীতি রক্ষায় আরও কড়া হাসিনা]
র্যাব জানায়, বুধবার রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১১ সদস্যরা রাজধানীর আশপাশের কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়ে সাতজনকে আটক করে। র্যাবের দাবি, গত ২৩ আগস্ট কোচিংয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরোয় কুমিল্লার সাতজন কলেজ পড়ুয়া। এরপর আরও কয়েকজন নিখোঁজ হয়। এসব ঘটনায় র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে অবস্থান শনাক্ত করে তাদের আটক করে। বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে, রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২১ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। আটকের সময় তাদের হেফাজত থেকে ৪৩৫টি ইয়াবা, ২ কেজি ৫৫০ গ্রাম গাঁজা, ১০৭ গ্রাম হেরোইন ও ২০টি নেশাজাতীয় ইঞ্জেকশন উদ্ধার করা হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল ছ’টা অবধি গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। মাদক দ্রব্যও উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৮টি মামলা রুজু হয়েছে।