বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসতেই রাজ্যে ‘ডেলি প্যাসেঞ্জারি’ শুরু বিজেপির দিল্লির নেতাদের। একমাসের তফাতে রাজ্যে দু’বার পা রাখছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। মাঝে ঘুরে গিয়েছেন স্মৃতি ইরানি ও ধর্মেন্দ্র প্রধানরা। গত সফরে নাড্ডা নদিয়া সফর করলেও এবার মানসিকভাবে ভেঙে পড়া অধিকারী পরিবারকে ভরসা দিতে আগামী রবিবার কাঁথি যাবেন তিনি। সেইসঙ্গে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়াতেও সভা করার কথা তাঁর। বঙ্গ সফরের সময় সাংগাঠনিক বৈঠকও করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। নাড্ডা সফরের আগে ঐক্যবদ্ধ চেহারা তুলে ধরার পাশাপাশি আর্থিক সংকট কাটাতে শনিবার সমর্পণ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। দলের প্রতি আনুগত্য প্রমাণে অর্থদান কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে।
গত লোকসভা ভোটে রাজ্য থেকে ১৮টি আসন ঝুলিতে ভরলেও এখন কমে দাঁড়িয়ে হয়েছে ১৬। আর বিধানসভা নির্বাচনে পর্যুদস্ত হওয়ার পর থেকে গেরুয়া শিবিরের সংগঠনে রক্তক্ষরণ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। সেইসঙ্গে রাজ্য নেতাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। বারবার সতর্ক করার পাশাপাশি নানা পরামর্শ দিল্লির তরফে দেওয়া হলেও সংগঠনে উন্নতির কোনও লক্ষণ নেই।
[আরও পড়ুন: নাগপুরের পিচে কোনও ‘জুজু’ নেই, অনবদ্য সেঞ্চুরি করে প্রমাণ দিলেন রোহিত]
প্রতিদিনই দলত্যাগের ঘটনা অব্যাহত। আবার সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। আর বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তাই এখন থেকেই বাংলায় যাতায়াত করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাজ্যে ২৪টি লোকসভা আসনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলিতে সফর করবেন অমিত শাহ (Amit Shah) ও জেপি নাড্ডা। প্রথমে ঠিক ছিল রবিবার বঙ্গ সফরে যাবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী। কিন্তু সংসদের বাজেট অধিবেশনে ও উত্তর পূর্বের তিন রাজ্যের ভোট নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন তিনি। তাই জেপি নাড্ডা রাজ্য সফরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান সুকান্ত মজুমদার।
তার আগেরদিন অর্থাৎ শনিবার রাজ্যে সমর্পণ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি (West Bengal)। দীনদয়াল উপাধ্যায়ের প্রতিকৃতির সামনে নেতাকর্মীরা তাঁদের সাধ্যমতো অর্থপ্রদান করবে। বহু আগে এই কর্মসূচি হলেও মাঝে তা বন্ধ হয়ে যায়। তাই ফের এই কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে দলের তরফে জানান হয়েছে। আদতে সর্বভারতীয় সভাপতির বঙ্গ সফরের আগেরদিন দলের ঐক্যবদ্ধ চেহারা দেখানোর পাশাপাশি বিজেপির আদর্শের প্রতি আনুগত্য প্রমাণে মরিয়া বঙ্গ নেতাদের এমন কর্মসূচি বলে মনে করছে রাজ্যনৈতিক মহল।