দীপালি সেন: ‘ক্যাম্পাসে মদ্যপান করা আমার অধিকার’, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর এহেন বক্তব্যে তীব্র বিতর্ক ছড়িয়েছে শিক্ষা মহলে। কড়া সমালোচনায় মুখর হয়েছেন যাদবপুরের ছাত্রছাত্রী ও ছাত্র সংগঠনগুলিও।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে ওই ছাত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আমরা অনেককেই বলতে শুনেছি, ক্যাম্পাসে এতো বিয়ারের বোতল কেন? যাঁরা এসব বলছেন, আমি নিশ্চিত তাঁরা নিজেরাও মদ্যপান করেন। তাঁরা নিজেদের ঘরে করেন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে আমাদের দ্বিতীয় বাড়ি বলে মনে করি। তাই আমাদের অধিকার রয়েছে যে আমরা চাইলে ক্যাম্পাসে মদ্যপান বা ধূমপান করতে পারি।” সোশিওলজি বিভাগের ছাত্রী শ্রীজাতা বাগচি নিজেকে আর্টস ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্ট ইউনিয়নের সদস্য (আফসু) বলে দাবি করেন। জানা গিয়েছে, তিনি ইনকেলাবি স্টুডেন্ট ইউনিটির সদস্য। সংগঠনটি যাদবপুরে ‘ক্রান্তি’ নামে পরিচিত।
[আরও পড়ুন: যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যু: ক্যাম্পাসে পুলিশকে ঢুকতে বাধা, গ্রেপ্তার আরও ১ প্রাক্তনী]
সিসিটিভির বিরুদ্ধে মতামত দিতে গিয়ে ক্যাম্পাসের ভিতরে মদ্যপান নিয়ে ছাত্রীর বক্তব্যে নিন্দার ঝড় উঠেছে। আফসু ও এসএফআইয়ের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আঞ্চলিক কমিটির সদস্য সৌর্যদীপ্ত রায়ের স্পষ্ট বক্তব্য, “এটার আমরা তীব্র নিন্দা করছি। কথায় কোনও যুক্তি নেই। আইনের বিচারেও এই কথার কোনও ভিত্তি নেই। তাই আফসু হোক বা এসএফআই, কোনও দিক থেকেই আমরা এই বক্তব্যের সমর্থন করি না। কোনও ধরনের অসামাজিক কাজ আমরা ক্যাম্পাসে একদম সমর্থন করি না।” যদিও বিতর্কের মুখে পড়ে পরবর্তীতে নিজের বক্তব্যের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমা চেয়ে তিনি একটি পোস্ট করেছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ও দলীয় মুখপাত্র সুদীপ রাহা বলেন, “এই কারণেই আমি কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং, মদ, গাঁজার অজুহাত হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে ক্যাম্পাসে ক্যামেরা বসানো দরকার।”