স্টাফ রিপোর্টার, ডায়মন্ডহারবার : ইলিশ ঢুকবে ডায়মন্ডহারবারের (Diamond Harbour) আড়তে– এই খবর ছিল প্রশাসনের কাছে। প্রশাসনিক আধিকারিকরা অভিযানে গিয়েছিলেন সেখানে ২৩ সেন্টিমিটারের ছোট সাইজের খোকা ইলিশ বাজেয়াপ্ত করতে। কিন্তু সেখানে গিয়ে ছোট ইলিশ (Hilsa Fish) তো পেলেনই না, বরং ঢুঁ মেরে কয়েকটি আড়তে পেলেন পেল্লাই সাইজের বেশ কিছু ইলিশের দেখা। স্বস্তির নিশ্বাস পড়ল সব মহলেই। খবর ছিল, অনেকদিন পর মঙ্গলবার ডায়মন্ডহারবারের নগেন্দ্রবাজার মাছের আড়তে ঢুকবে ইলিশ। আশঙ্কা ছিল, ২৩ সেন্টিমিটারের কম সাইজের খোকা ইলিশ বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হচ্ছে পাইকারি বাজারে।
প্রস্তুত হয়ে ডায়মন্ডহারবারের এসডিও সুকান্ত সাহা, এসডিপিও মিতুনকুমার দে, আইসি গৌতম মিত্র ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সহ মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) জয়ন্তকুমার প্রধান বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে হাজির হন আড়তে। সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ উমাপদ পুরকাইতও। কিন্তু সমস্ত আড়তে অভিযান চালিয়েও কোথাও খুঁজে পাওয়া গেল না ছোট ইলিশ। পাওয়া গেল না বড় ইলিশের দেখাও। উল্টে দু’টি আড়তে ঢুকে তাঁরা দেখলেন কিছু ইলিশ ঢুকেছে সেখানে। আর সবই ৮০০—৯০০ গ্রামের। এমনকী রয়েছে এক কেজি থেকে দেড় কেজির বেশি ওজনের কিছু ইলিশও।
[আরও পড়ুন: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে প্রাক্তন কাউন্সিলরকে বেধড়ক মার, বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল TMC নেতার]
মহকুমাশাসক জানান, কাকদ্বীপ, ফ্রেজারগঞ্জ, নিশ্চিন্তপুর, কুলপি ও নামখানা থেকে ইলিশ এদিন আড়তে ঢুকলেও তাঁরা এদিন ২৩ সেন্টিমিটারের কম সাইজের কোনও ইলিশের দেখা না পাওয়ায় খুশি। তিনি মৎস্যজীবী, ট্রলার মালিক, আড়তদার সকলকেই ছোট ইলিশ না ধরা ও বিক্রির ব্যাপারে এ ভাবেই সচেতন থাকার পরামর্শ দেন। সহ মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) জানিয়েছেন, এভাবে যদি সকলেই ছোট ইলিশ ধরা ও বিক্রি বন্ধ করার বিষয়ে সচেতন হন তবেই আমবাঙালি ফের ইলিশের স্বাদে তৃপ্ত হবে। আড়তদার সৌমিত্র দাস মরশুমে প্রথম এত বড় সাইজের ইলিশ পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি। তিনি জানান, তাঁর আড়তে এদিন দু’হাজার কেজি ইলিশ ঢুকেছে। তাঁর আড়তে এক কেজি থেকে এক কেজি সাতশো গ্রাম ওজনের ইলিশের এদিন নিলাম হয়েছে ১২৫০—১৫০০ টাকায়। আর ৮০০—৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিকিয়েছে ৯৫০—১০০০ টাকায়। নগেন্দ্রবাজার আড়তদার সমিতির সম্পাদক জগন্নাথ সরকার জানান, দু’টি আড়ত মিলিয়ে আড়াই টনের মতো ইলিশ ঢুকেছে এদিন। সবই ৮০০গ্রাম থেকে ১ কেজি ৭০০ গ্রাম ওজনের মধ্যে। এত বড় সাইজের ইলিশ আসায় কিছুটা হলেও তাঁরা আশাবাদী।