ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: টানা অনশনে অসুস্থ আরও এক জুনিয়র ডাক্তার। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই খবর। তাঁর চিকিৎসায় ৮ সদস্যের মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। তাঁরাই অনশনে অসুস্থ জুনিয়র চিকিৎসকের দিকে সর্বক্ষণ নজর রেখেছেন।
জানা গিয়েছে, সম্ভবত টানা অনশনের প্রভাবে অনুষ্টুপের শরীরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ। তার জেরে পেটে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। এর পর কার্যত গ্রিন করিডর করে ধরনা মঞ্চ থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অনুষ্টুপকে। তাঁর শারীরিক অবস্থা যথেষ্ট সংকটজনক বলেই খবর।
গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সুবিচারের দাবিতে টানা আন্দোলনে শামিল চিকিৎসকরা। কর্মবিরতির পর এবার আমরণ অনশনে মোট ১০ জুনিয়র চিকিৎসক। বর্তমানে অনশন করছেন কলকাতা মেডিক্যালের তনয়া পাঁজা ও স্নিগ্ধা হাজরা, এসএসকেএমের অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কেপিসি মেডিক্যালের সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, এনআরএস মেডিক্যালের পুলস্ত্য আচার্য, বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের পরিচয় পাণ্ডা, ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যালে আলোলিকা ঘড়ুই। এছাড়া রয়েছেন উত্তরবঙ্গের শৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর জি কর মেডিক্যালের অনিকেত মাহাতো, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের অলোক বর্মা অনশন করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এবার অনশন করে অসুস্থ হয়ে পড়লেন অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়। প্রত্যেকেই ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। অনশনকারী অন্যান্য চিকিৎসকের শারীরিক অবস্থারই ধীরে ধীরে অবনতি হচ্ছে। রক্তচাপ, পালস রেট ওঠানামা করছে। অনেকেরই রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গিয়েছে। পটাশিয়ামের মাত্রাও কমছে কারও কারও। অনশনের ফলে লিভার, কিডনিতে কুপ্রভাব পড়ার সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে।