সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা অনশনে এবার অসুস্থ জুনিয়র চিকিৎসক পুলস্ত্য আচার্য। এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। তাঁর চিকিৎসায় পাঁচ সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। তাঁদের তত্ত্বাবধানেই জুনিয়র চিকিৎসকের চিকিৎসা চলছে। জানা গিয়েছে, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন পুলস্ত্য।
রবিবার রাতে আচমকা পেটে ব্যথা শুরু হয়। বমি বমি ভাবও দেখা দেয় এনআরএস হাসপাতালের অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের পিজিটি প্রথম বর্ষের পড়ুয়া পুলস্ত্যর। চিকিৎসক জানিয়েছেন, খাওয়াদাওয়া না করার ফলে তাঁর শরীর সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মাত্রার পরিবর্তন হয়। কিটোন বডির পরিমাণও বেড়ে গিয়েছে। তার ফলে শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হয়। পুলস্ত্যর শরীরে জলশূন্যতাও তৈরি হয়েছে। স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। তাঁর অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তবে একেবারে বিপন্মুক্ত নন পুলস্ত্য।
প্রসঙ্গত, গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সুবিচারের দাবিতে টানা আন্দোলনে শামিল চিকিৎসকরা। কর্মবিরতির পর এবার আমরণ অনশনে মোট ১০ জুনিয়র চিকিৎসক। বর্তমানে অনশন করছেন কলকাতা মেডিক্যালের তনয়া পাঁজা ও স্নিগ্ধা হাজরা, এসএসকেএমের অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কেপিসি মেডিক্যালের সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের পরিচয় পাণ্ডা, ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যালে আলোলিকা ঘড়ুই।
এছাড়া রয়েছেন উত্তরবঙ্গের শৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর জি কর মেডিক্যালের অনিকেত মাহাতো, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের অলোক বর্মা, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, এনআরএস মেডিক্যালের পুলস্ত্য আচার্যও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। প্রত্যেকেই ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। অনশনকারী অন্যান্য চিকিৎসকদের শারীরিক অবস্থারও ধীরে ধীরে অবনতি হচ্ছে। রক্তচাপ, পালস রেট ওঠানামা করছে। অনেকেরই রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গিয়েছে। পটাশিয়ামের মাত্রাও কমছে কারও কারও। অনশনের ফলে লিভার, কিডনিতে কুপ্রভাব পড়ার সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে।