সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডে সুবিচার-সহ ১০ দফা দাবিতে আমরণ অনশনে ৮ জুনিয়র চিকিৎসক। ইতিমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বেশ কয়েকজন। বাকিদের শারীরিক অবস্থারও ধীরে ধীরে অবনতি হচ্ছে। এবার তাঁদের শারীরিক অবস্থা সংক্রান্ত রিপোর্ট স্বাস্থ্যভবনে পাঠানোর নির্দেশ স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের।
গত ৯ আগস্ট, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনায় সুবিচার-সহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলনে শামিল জুনিয়র ডাক্তাররা। এসএসকেএমের অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কেপিসি মেডিক্যালের সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, কলকাতা মেডিক্যালের স্নিগ্ধা হাজরা এবং আলোলিকা ঘোড়ুই, শিশুমঙ্গলের পরিচয় পাণ্ডা, অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ হাইজিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথের রুমেলিকা কুমার, মেদিনীপুর মেডিক্যালের স্পন্দন চৌধুরী এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সন্দীপ মণ্ডল বর্তমানে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।
অনশনের ফলে অসুস্থ হয়ে এখনও হাসপাতালে রয়েছেন কলকাতা মেডিক্যালের তনয়া পাঁজা এবং অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, এনআরএসের পুলস্ত্য আচার্য, উত্তরবঙ্গের সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অলোক বর্মা। সদ্যই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন আর জি কর মেডিক্যালের অনিকেত মাহাতো। যাঁরা এখনও অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে ক্রমশ। তাঁদের নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর।
যে যে হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের দিকে সংশ্লিষ্ট অধ্যক্ষ এবং হাসপাতাল সুপারকে বিশেষ নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কে, কেমন রয়েছেন সে সংক্রান্ত স্বাস্থ্য রিপোর্ট প্রতিদিন কমপক্ষে দুবার স্বাস্থ্যভবনে পাঠাতে হবে। অনশনের ১৪তম দিনেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা। শুক্রবার সন্ধেয় সিনিয়রদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন জুনিয়র ডাক্তররা। এর পর আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা স্থির হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।