ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: ডাক্তারি পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে চরম বিশৃঙ্খলা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Kolkata Medical College)। রাতভর ঘেরাও কলেজের সুপার। মঙ্গলবার সকালেও তা অব্যাহত। ঠিকমতো চিকিৎসা পরিষেবা না পেয়ে চূড়ান্ত ভোগান্তিতে রোগীরা। তাঁরাও পালটা বিক্ষোভে (Agitation) নেমেছেন। অভিযোগ, কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না নার্সিং স্টাফদেরও। সবমিলিয়ে, মেডিক্যাল কলেজ চত্বরের পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত। থমকে চিকিৎসা পরিষেবা। কখন সমস্ত স্বাভাবিক হবে, তার অপেক্ষায় রয়েছেন রোগীরা (Patients)।
মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন (Student’s Union Election) স্থগিত করে দেওয়া নিয়ে সোমবার রাত থেকে অশান্তির সূত্রপাত। আগামী ২৬ ডিসেম্বর ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা স্থগিত করে দিয়েছে স্বাস্থ্যভবন (Swasthya Bhaban)। সেই খবর পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন পড়ুয়া ও জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। ভোট করানোর দাবিতে অনড় তাঁরা। অভিযোগ, নিজেদের দাবিপূরণ করতে রাতেই মেডিক্যাল কলেজের সুপারকে ঘেরাও করে একদল জুনিয়র চিকিৎসক (Junior doctors)। মঙ্গলবার সকালেও তিনি ঘেরাওমুক্ত হননি।
[আরও পড়ুন: ম্যাচের আগে পেলের বার্তাই টনিক, জিতে মাঠেই কিংবদন্তিকে শ্রদ্ধার্ঘ্য নেইমারদের]
এদিকে, বিক্ষোভকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা কেউ আউটডোরেও (OPD) যাননি। ফলে সকাল থেকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরে রোগীদের ভিড় বেড়েই চলেছে। কেউই কার্যত চিকিৎসা পাচ্ছেন না। আর দীর্ঘক্ষণ এভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে তাঁরা ক্ষুব্ধ। চিকিৎসা না পেয়ে পালটা রোগীরাও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, হাসপাতালে ভরতি রোগীদেরও চিকিৎসায়ও বড়সড় গাফিলতি দেখা গিয়েছে। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন স্থগিত করে দিতে হয়েছে বলে খবর মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে। অভিযোগ, চিকিৎসা পাননি ক্যানসার আক্রান্ত রোগীও।
[আরও পড়ুন: নেশায় বুঁদ পাঞ্জাব! সরকারের ‘নিষ্ক্রিয়তায়’ তোপ সুপ্রিম কোর্টের]
বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, নার্সিং স্টাফদেরও কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকী ঘেরাও করা হয়েছে নার্সিং সুপারকেও। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, স্বাস্থ্যভবনের তরফে আধিকারিক এবং কলেজের অধ্য়াপক চিকিৎসকরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু নিজেদের দাবিতে তাঁরা অনড়। ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত কোনওভাবেই কাজে ফিরবেন না বলে সাফ জানাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসক ও পড়ুয়ারা। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, তাঁদের অনড় মনোভাবের জন্য মেডিক্যাল কলেজের মতো হাসপাতালের পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে গেলে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।