ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য ও অর্ণব দাস: চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগে শুক্রবার সন্ধেবেলা ধুন্ধুমার কাণ্ড কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এমনকি পুলিশকেও হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল মৃত রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার থেকে পূর্ণ কর্মবিরতির পথে হাঁটছেন সাগর দত্তর জুনিয়র চিকিৎসকরা। এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে জুনিয়র ডক্টরস ফোরাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে শুক্রবার সন্ধেবেলা রঞ্জনা সাউ নামে বছর ছত্রিশের এক মহিলাকে তাঁকে সাগর দত্ত মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলে পরিবার। মৃতার মা কিরণ সাউয়ের অভিযোগ, বার বার বলা সত্বেও ডাক্তার মেয়েকে দেখেনি। চিকিৎসকদের গাফিলতির জন্যই মেয়েকে হারিয়েছেন।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাসপাতালে জড়ো হয়ে যায় মৃতার পরিবার, পরিচিতরা। অভিযোগ, তাঁরা কর্তব্যরত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর চড়াও হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে পুলিশের উপর হামলা চালানো হয় বলেও অভিযোগ। তখন অন্যান্য রোগীর পরিবারের সদস্যরাও মৃত রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
এর পর এসিপি বেলঘড়িয়া, কামারহাটি থানার ওসি বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে গিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রিন্সিপাল ডাঃ পার্থপ্রতিম প্রধান জানান, ''যতটুকু শুনেছি, রোগী আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসেছিল। উপস্থিত চিকিৎসকরা তখন যথেষ্ট চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো যায়নি। এর পর তিনজন মহিলা চিকিৎসক-সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের হেনস্থা করা হয়। থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে।'' গন্ডগোলের ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই ঘটনার পরই জুনিয়র ডাক্তাররা পূর্ণ কর্মবিরতির ডাক দেন। শনিবার থেকেই তাঁদের কর্মবিরতি হবে বলে জানানো হয়েছে। যার জেরে আবারও চিকিৎসা পরিষেবা ধাক্কা খেতে পারে বলে আশঙ্কা।