গোবিন্দ রায়: ধর্মতলায় 'রাস্তা আটকে' ডাক্তারদের অবস্থান। সোমবার এ বিষয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এক আইনজীবী। তাঁর দাবি, রাস্তা ছেড়ে দিয়ে বা রাস্তার পাশে বসতে বলা হোক। রাস্তার অধিকাংশ জুড়়ে ডাক্তারেরা বসে থাকায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। তবে সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর মামলা বিচারাধীন হওয়ায়, আবেদনে সাড়া দিল না আদালত।
গত ৯ আগস্ট, আর জি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনার পর থেকে সুবিচার, নিরাপত্তা-সহ একাধিক দাবিতে সরব জুনিয়র চিকিৎসকরা। প্রথম দফায় টানা ৪১ দিনের মাথায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন তাঁরা। গত মাসের শেষের দিকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের শুনানিও হয়। তার পর দীর্ঘ জিবি মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্বিতীয় পর্যায়ে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। যদিও গত শুক্রবার মাঝরাত থেকে কাজ ফেরেন তাঁরা। তবে দশ দফা দাবিপূরণের ডেডলাইন দিয়ে ধর্মতলায় ধরনা কর্মসূচি শুরু করেন। দাবিপূরণ না হলে আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো শনিবার রাত থেকে শুরু হয়েছে আমরণ অনশন।
ওই অনশন মঞ্চের কাছে বায়ো টয়লেট বসানো নিয়েই তৈরি হয়েছে জটিলতা। আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁরা আমরণ অনশন করছেন। সেক্ষেত্রে ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই দূরে কোথাও গিয়ে শৌচালয় ব্যবহার করা কার্যত অসম্ভব। সেক্ষেত্রে সমস্যা যাতে না হয়, তাই ধরনা মঞ্চের কাছে শুধুমাত্র আন্দোলনকারী পুরুষ এবং মহিলাদের ব্যবহারে দুটি পৃথক বায়ো টয়লেট বসানো হয়েছে। তবে পুলিশের তরফে এই যুক্তিতে বিশেষ কান দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশের দাবি, ধর্মতলা চত্বর গ্রিন জোন। তাই সেখানে বায়ো টয়লেট বসানোর অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। পুলিশের অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও অবশ্য সোমবার সকালে দুটি বায়ো টয়লেট বসানো হয়েছে।