গোবিন্দ রায়: স্কুলের শিক্ষকদের পোস্টিং সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এবার সেই স্থগিতাদেশ চূড়ান্ত হতাশা প্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে তাঁর মন্তব্য, “আমার হাত আবার যদি বেঁধে দেওয়া হয়, আমি তো কিছু করতে পারব না। আমি সুপ্রিম কোর্টকে কিছু অনুরোধ করতে পারি।”
এর আগে এই মামলায় জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya)জিজ্ঞাসাবাদ করতে সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি হাই কোর্টের নির্দেশ ছিল, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির বিরুদ্ধে নতুন করে এফআইআর করে তদন্তে নামের সিবিআই। আর্থিক অনিয়ম খুঁজবে ইডি। কিন্তু উচ্চ আদালতের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্ট যান মানিক ভট্টাচার্য। গত সপ্তাহে শীর্ষ আদালত ওই মামলায় স্থগিতাদেশ দেয়।
[আরও পড়ুন: বলি নায়িকারাও ‘ফেল’? কালো লেহেঙ্গায় আয়ুষ্মান খুরানার ঠুমকা দেখে ‘কুপোকাত’ পুরুষরা!]
তা নিয়ে এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “যাঁরা ঘুষ দিয়ে চাকরি করছেন, তাঁরা স্বীকার করার পরেও কোনও মামলায় কীভাবে স্থগিতাদেশ হয়, বুঝতে পারি না। সবই কি ন্যাচারাল জাস্টিস?” উত্তরে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ন্যাচারাল জাস্টিসের দোহাই দিয়ে কোনও মামলার বিচারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত না করাই উচিত।” আরেক আইনজীবী বলেন, “ধর্মাবতার, আপনি যা করে দিয়েছেন তাতে অনেকের ঘুম উড়ে গিয়েছে। আমার মামলায় আপনার নির্দেশের পরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান রাতে ঘুমাতে পারছেন না।”
[আরও পড়ুন: সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও জরিমানার নির্দেশ খারিজ, হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে স্বস্তি মানিকের]
শুনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “নাগরিকদের সঙ্গে কেউ দুষ্টুমি করবেন, তা আমি সহ্য করব না। কেন সাধারণ মানুষকে কোর্টে দৌড়ে আসতে হবে? কেন সরকারি আধিকারিকরা নিজের কাজ করেন না? এটা আমার পছন্দ নয়।” তাঁর মন্তব্য, “আমার নির্দেশে কেউ যদি ঘুমাতে না পারেন, তাহলে বলব হাই কোর্টের গরিমা অক্ষুণ্ন রয়েছে। এখনও তাঁরা হাই কোর্টের নির্দেশকে ভয় পান।”