রাহুল রায়: পুজোর আগে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ফের সুখবর। বিভিন্ন জেলায় প্রায় ৪ হাজার শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের (Primary Teachers Recruitment) নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। ১১ নভেম্বরের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। সোমবার এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। মামলার পরবর্তী শুনানি ১১ নভেম্বর।
২০১৪ সালের টেটের (Primary TET) প্রেক্ষিতে দু’টি নিয়োগপ্রক্রিয়া সংগঠিত হয়। ২০১৬ সালে রাজ্যে ৪২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হয়। আবার ২০২০ সালে ১৬ হাজার ৫০০ শূন্যপদে নিয়োগ করা হয়। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি ছিল, বিভিন্ন জেলায় ৩ হাজার ৯২৯ ফাঁকা পদ পড়েছিল। সম্প্রতি প্রাথমিক সিবিআই, শিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিপ্রার্থীদের বৈঠক হয়। সেখানেই প্রায় ৪ হাজার শূন্যপদের হদিশ মেলে।
[আরও পড়ুন: টেটের প্রশ্নপত্রে ভুল, পুজোর আগে আরও ৬৫ জনকে নিয়োগের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের]
এবার নভেম্বরের ১১ তারিখের মধ্যে সবক’টি পদে নিয়োগে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে উপযুক্ত প্রার্থীদের নিয়োগ করতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই আদালতের নির্দেশে পুজোর আগে খুশি চাকরিপ্রার্থীরা। আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পুজোর আগে ৯২৩ জন যোগ্যপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশ দিয়েছিলেন, কাউন্সেলিংয়ের দিনই গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-র যোগ্যপ্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিতে হবে। ২৮ সেপ্টেম্বের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
[আরও পড়ুন: মণ্ডপ নয়, পুজোর সময় কলকাতা ঘুরে দেখতে চান? ঝাঁ চকচকে দোতলা বাস নামছে রাস্তায়]
আবার ২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে প্রশ্ন ভুল মামলায় চলতি মাসে পরপর তিন ধাপে ১৮৯ জন টেট উত্তীর্ণকে আইনি প্রক্রিয়া মেনে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। প্রথম ধাপে ২৩ জন, পরে ৫৪ জন এবং শেষে ১১২ জন টেট উত্তীর্ণর আগামী ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিয়োগ সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে ইন্টারভিউও নেওয়া হয়েছে তাঁদের।