সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে নিয়োগ দুর্নীতির সমস্ত মামলা সরানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এহেন রায় শুনেও অবশ্য তেমন বিচলিত হলেন না বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে তিনি বললেন, ”কুণাল ঘোষকে প্রণাম, তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী মিলে গিয়েছে।” এরপরই সুপ্রিম কোর্টে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়ে জমা পড়া কপিটি তলব করেন হাই কোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে। জানান, তিনি মাঝরাত পর্যন্ত আদালতে থাকবেন। সেই কপিটি দেখতে চান, যার ভিত্তিতে তাঁকে মামলা থেকে সরানো হল।
হাই কোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একাধিক আইনি সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা করেছে তৃণমূল। যুক্তিপূর্ণভাবে অনেক সময় বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে দলের একাধিক নেতানেত্রীকে। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও এ নিয়ে মতামত জানিয়েছেন। এর আগে ২৪ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিচারাধীন বিষয় নিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের টেলিভিশন সাক্ষাৎকার নিয়ে হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে রিপোর্ট তলব করেন। তারপরই কুণাল ঘোষ ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, ”চরম অস্বস্তিতে পড়তে চলেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।”
[আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল DA মামলা, পরবর্তী শুনানি গরমের ছুটির পর]
এরপর শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কুণাল ঘোষের নামই করলেন, তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী মিলে যাওয়ার জন্য জানালেন ‘প্রণাম’! এদিকে, কুণাল ঘোষও বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি বলেন, ”সুপ্রিম কোর্টের মহামান্য প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের রায়কে স্বাগত। বিচার ব্যবস্থার প্রতি, সমস্ত বিচারপতির প্রতি আমাদের সর্বোচ্চ আস্থা রয়েছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কেও আমরা খুবই সম্মান করি। কিন্তু তিনি যেভাবে বিচারব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে নিজের রাজনৈতিক উইশলিস্ট চরিতার্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন, সেটা অনভিপ্রেত। সেটুকুর প্রতিবাদ করেছি আমরা। সেটা আইনি পথেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে, এবং তার রায় বেরিয়েছে। এছাড়া কেউ যদি কোনও অন্যায় করে থাকেন, তাহলে তাঁর শাস্তি হবেই। আইনি প্রক্রিয়া মেনেই তা হবে। কিন্তু তার আগেই যদি কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নেতিবাচকতা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে থাকে, তাহলে তাতে আপত্তি থাকবে আমাদের।”