সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার্থীর কাছে ‘পর্ষদ’ থেকে ফোন আসার দাবি। আর সেই দাবির ভিত্তিতে এবার কলকাতা হাই কোর্টের নজরে ‘পর্ষদে’র ফোন নম্বর। ফোন নম্বরটি কার, কোথা থেকে এসেছিল ফোন – তা খতিয়ে দেখতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
শিল্পা চক্রবর্তী নামে এক টেট পরীক্ষার্থী বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে দাবি করেন, ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। ফোনে বলা হয়, ‘‘পর্ষদের অফিস থেকে বলছি। আপনি কি টেট পরীক্ষা দিয়েছেন? চাকরি হয়ে যাবে। কিন্তু তার জন্য পর্ষদের অফিসে আসতে হবে। দেখাও করতে হবে পর্ষদ সভাপতির সঙ্গে।’’ কোন পর্ষদের অফিসে যাওয়ার কথা বলছেন তা অবশ্য যিনি ফোন করেছিলেন তিনি স্পষ্ট করে বলেননি। তবে মনে করা হচ্ছে যেহেতু শিল্পা টেট পরীক্ষার্থী ছিলেন তাই হয়তো প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কথাই বলবেন।
[আরও পড়ুন: মোমিনপুর হিংসার তদন্তে গিয়ে বাধার মুখে NIA’র দল, তল্লাশিতে উদ্ধার লক্ষ লক্ষ টাকা]
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে অভিযোগ শুনেই মামলাটির তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেন বিচারপতি। তিনি বলেন, সিবিআইকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। কবে, কোথা থেকে, কে ওই ফোন করেছিলেন তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খতিয়ে দেখতে হবে। এমনকি, ওই ফোনের কল রেকর্ডিংও সিবিআইকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
এদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তথ্যের খোঁজে বুধবার সন্ধেয় বিকাশ ভবনে হানা দেন সিবিআইয়ের। শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে জিজ্ঞাসাবাদও করেন আধিকারিকরা। এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর বিকাশ ভবনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা যান। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মন্ত্রীর ঘরের উলটোদিকে তাঁর সচিবালয়ে বসেন তদন্তকারীরা। বিভিন্ন নথিপত্র বাজেয়াপ্তও করা হয়। সপ্তাহখানেক ব্যবধানে ফের কেন বিকাশ ভবনে হানা দিলেন আধিকারিকরা, সে বিষয়ে সিবিআইয়ের তরফে এখনও কিছু জানা যায়নি।