গোবিন্দ রায়: শিক্ষকদের পোস্টিংয়ে আর্থিক লেনদেন মামলায় মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করেছে সিবিআই। মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হয়েছে জেরা। বুধবার তা শেষ হয়েছে। এই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “একটা লড়াই চলছে, যুদ্ধ এখনও বাকি।”
নিজের জেলায় আর কোনও শূন্যপদ নেই বলে শিক্ষকদের জানানোর পর ২০২১ সালে ৬ জুলাই পর্ষদ একটি তালিকা প্রকাশ করে। তার ফলে বাধ্য হয়ে অনেকেই দূরে চাকরি করতে যান। এরপর ৩০ জুলাই আরেকটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। তাতে দেখা যায় যে জায়গায় চান, সেই জায়গাতেই পেয়েছেন পোস্টিং। মাত্র ২৩ দিনের মধ্যে কীভাবে পছন্দসই পোস্টিং পাওয়া গেল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। বুধবার আদালতে সে প্রশ্ন করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: ভাঙড়ের ‘হাঙর’দের কবজা করবে কলকাতা পুলিশ! নয়া ভাবনা মুখ্যমন্ত্রীর]
বিচারপতির নির্দেশ মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে সিবিআই। মানিককে জেরায় কী কী তথ্য সামনে এল, সে তথ্য ওই রিপোর্ট উল্লেখ করতে হবে। এছাড়া জেরার ভিডিওগ্রাফও জমা দেওয়ার নির্দেশ। ইডি তদন্তে কী তথ্য পেল, সে রিপোর্টও জমা দিতে হবে। বীরভূম, বাঁকুড়া, এবং মুর্শিদাবাদের যাঁরা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের নাম, ঠিকানা, রোল নম্বর আগামী ১০ দিনের মধ্যে পর্ষদের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। আগামী ২ আগস্টের মধ্যে সিবিআই এবং ইডিকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। আগামী ৩ আগস্ট দুপুর দুটোয় মামলার পরবর্তী শুনানি।