গোবিন্দ রায়: ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর মামলায় আদালতের ভৎসর্নার মুখে আইআইটি খড়গপুর (Kharagpur IIT) ডিরেক্টর ভি কে তিওয়ারি। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার প্রশ্ন, “ডিরেক্টর কি আদালত ভাষা বোঝেন না? আপনার সন্তানের সঙ্গে হলে কি করতেন?”
ঘটনার সূত্রপাত গতবছর। তিনসুকিয়ার বাসিন্দা ফয়জান আহমেদ আইআইটি খড়গপুরের পড়ুয়া ছিলেন। থাকতেন লালা লাজপত রায় হস্টেলে। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। এরপরই পরিবারের তরফে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতে খড়গপুর আইআইটি (IIT Kharagpur) কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল হাই কোর্ট। আইআইটির ডিরেক্টরকে রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই রিপোর্ট জমা পড়েনি। শুক্রবারের শুনানিতে ডিরেক্টর জানান, তিনি বিশেষ কাজে টোকিও যাওয়ায় রিপোর্ট পেশ করা যায়নি।
[আরও পড়ুন: মিড ডে মিলের টাকা খরচ করা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরে! বিস্ফোরক শুভেন্দু]
এতেই বেজায় ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি মান্থা। খড়গপুর আইআইটির ডিরেক্টরকে উদ্দেশ করে বলেন, “ডিরেক্টর কি আদালত ভাষা বোঝেন না? আপনার সন্তানের সঙ্গে হলে কি করতেন? মৃতের পরিবারের টাকা নেই কলকাতা আসার। কী করছেন আপনারা? আদালতের উত্তর দেওয়া জরুরি না টোকিও যাওয়া?” এমন একটা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা ডিরেক্টর এমন আচরণ কীভাবে, তা নিয়ে উষ্মাপ্রকাশও করেন তিনি।
বিচারপতি এদিন বলেন, “অনেক মেধাবী ছাত্র আছে। তাঁদের এটা জানা দরকার যে ব়্যাগিং কতটা ক্ষতিকারক! দেশের জন্য তাঁদের কাজ করতে হবে।সব পর্যায়ে কাউন্সিলিং করতে হবে।” মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ ফেব্রুয়ারি।