shono
Advertisement

Breaking News

CJI Sanjiv Khanna

ইন্দিরার জরুরি অবস্থায় 'না', প্রধান বিচারপতি হতে পারেননি CJI সঞ্জীব খান্নার কাকা

প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার কাকা হংসরাজ খান্নাও ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি।
Published By: Kishore GhoshPosted: 05:11 PM Nov 11, 2024Updated: 06:18 PM Nov 11, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাকার সুবর্ণযাত্রা সম্পূর্ণ করলেন যোগ্য ভাইপো! সদ্য ভারতের ৫১তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথগ্রহণ করেছেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি দৌপ্রদী মুর্মুর উপস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ নেন তিনি। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার প্রসঙ্গ উঠলে এসে পড়বেই বিচারপতি হংসরাজ খান্নার কথা। কেন? কে তিনি?

Advertisement

সেই উত্তর দেওয়ার আগে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সম্পর্কে দুএকটি তথ্য জেনে নেওয়া জরুরি। ১৯৬০ সালের ১৪ মে জন্ম ভারতের নয়া প্রধান বিচারপতি খান্নার। বিচারপতির বংশ! বাবা রাজ খান্নাও ছিলেন দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি। মা সরোজ খান্না ছিলেন দিল্লির লেডি শ্রীরাম কলেজের শিক্ষিকা। ১৯৮০ সালে দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে স্নাতক হন প্রধান বিচারপতি খান্না। এর পর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন নিয়ে পড়শোনা করেন।

১৯৮৩ সালে দিল্লির তিস হাজারি কোর্টে আইনজীবী হিসাবে কাজ শুরু করেন বিচারপতি খান্না। ২০০৫ সালে দিল্লি হাই কোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত হন। এক বছর পরে দিল্লি হাই কোর্টের স্থায়ী বিচারপতি পদে উন্নীত হন তিনি। ২০১৯ সালের ১৮ জানুয়ারি বিচারপতি খান্নাকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। সোমবার দেশের প্রধান বিচারপতি হলেন তিনি। প্রশ্ন হল, বিচারপতি হংসরাজ খান্না কে?

আজকের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার কাকা হলেন হংসরাজ খান্না। তিনিও ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। ১৯৭৫ সালে জরুরি ব্যবস্থা জারি করে ইন্দিরা সরকার। এমারজেন্সির সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় মামলা ওঠে শীর্ষ আদালতে। যা এডিএম জব্বলপুর বনাম শিবকান্ত শুক্লা মামলা নামে খ্যাত। পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ রায় দেয়, রাষ্ট্রের স্বার্থে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার স্থগিত হতে পারে। যদিও পাঁচ বিচারপতির মধ্যে একমাত্র বিচারপতি হংসরাজ খান্না ভিন্নমত পোষণ করেছিলেন। আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে গ্রেপ্তারির বিপক্ষে ছিলেন তিনি।

অনেকেই মনে করেন, এভাবে নাগরিক অধিকারের পক্ষে দাঁড়ানোয় তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরাগভাজন হন । যোগ্যতা থাকা সত্বেও প্রধান বিচারপতি হতে পারেননি হংসরাজ খান্না। বরং কংগ্রেস সরকার ভারতের প্রধান বিচারপতি করেছিল বিচারপতি এম এইচ বেগকে। সেই সূত্রে বলাই যায় কাকা হংসরাজ খান্নার অসম্পূর্ণ যাত্রা পূরণ করলেন ভাইপো। অর্থাৎ প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ১৯৬০ সালের ১৪ মে জন্মগ্রহণ করেন ভারতের নয়া প্রধান বিচারপতি খান্না।
  • ১৯৮৩ সালে দিল্লির তিস হাজারি কোর্টে আইনজীবী হিসাবে কাজ শুরু করেন বিচারপতি খান্না।
  • ১৯৭৫ সালে জরুরি ব্যবস্তা জারি করে ইন্দিরা সরকার।
Advertisement