ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর শুক্রবার ভোররাতে ইডির হাতে গ্রেপ্তার প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শুক্রবারই মন্ত্রীকে তোলা হয়েছে আদালতে। প্রতি মুহূর্তের আপডেট পেতে চোখ রাখুন।
রাত ৯.২০: বাইপাসের ধারের বেসরকারি হাসপাতালের CCU ১৪২ নম্বর কেবিনে রাখা হয়েছে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়কে। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে আগামিকাল রাত পর্যন্ত এখানেই থাকবেন তিনি। তবে সারাক্ষণই চলবে ইডির নজরদারি। যদিও মন্ত্রীর জন্য কোনও আলাদা করে কোনও মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি হয়নি। একজন নেফ্রোলজিস্ট এবং কার্ডিওলজিস্টের তত্ত্বাবধানে থাকবেন তিনি।
সন্ধে ৭.০২: বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে পৌঁছলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে চলবে চিকিৎসা। এখানে চিকিৎসার পর তাঁকে ১০ দিন ইডি হেফাজতে থাকতেই হবে। নির্দেশে জানিয়েছেন বিচারক তনুময় কর্মকার।
সন্ধে ৬.১২: ব্যাঙ্কশাল আদালত থেকে বের করা হল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। এসি অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই আপাতত চিকিৎসা হবে মন্ত্রীর।
বিকেল ৫.১০: আগামী ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ইডি হেফাজত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের, নির্দেশ ব্যাঙ্কশাল আদালত। হেফাজতে থাকাকালীন তিনি বাড়ির খাবার খেতে পারবেন। আবেদন মঞ্জুর বিচারকের।
বিকেল ৫: শুনানি চলাকালীন ব্যাঙ্কশাল আদালতে অসুস্থ হয়ে পড়লেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। মাথা ঘুরে চেয়ার থেকে পড়ে যান তিনি। পরে বমিও হয়। সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানোর দাবি তাঁর আইনজীবীর। ঠিকমতো ওষুধ দেওয়া হয়নি, অভিযোগ আইনজীবীদের। মন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য আলিপুর কমান্ড হাসপাতালের মেডিক্যাল টিম তৈরি হচ্ছে বলে খবর।
দুপুর ০৩.৩০: জ্যোতিপ্রিয়কে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আর্জি ইডির।
দুপুর ০১.৩০: আদালতে পৌঁছলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। নিরাপত্তা বেষ্ঠনীতে মোড়া আদালত চত্বর।
বেলা ১২.২৮: গ্রেপ্তারি নিয়ে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কাউকে গ্রেপ্তার করা মানেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হওয়া নয়। আগেও গ্রেপ্তার হয়েছে। তাঁদের বিচার এখনও চলছে। বিজেপি বুঝতে পারছে বাংলায় তাঁদের অবস্থা আরও সঙ্গীন। পরের লোকসভা ভোটেও জনসমর্থন পাবে না। তাই প্রশাসনিক নয়, তদন্তকারী সংস্থাকে এভাবে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল নেতাদের একে একে জেলে পাঠাচ্ছে।”
বেলা ১২.২০: মন্ত্রীর গ্রেপ্তারি নিয়ে সরব কুণাল ঘোষ। নিশানায় বিজেপি ও শুভেন্দু অধিকারী। টুইটে তদন্তকারী সংস্থাকেও একহাত নিলেন তিনি। বললেন, “শুভেন্দু ও বিজেপি ওয়াশিং মেশিন রাজনীতি করছে। এটা ষড়যন্ত্র নাহলে এতদিনে তাঁরই জেলে থাকার কথা।”
বেলা ১২.১০: স্বাস্থ্যপরীক্ষা শেষে হাসপাতাল থেকে বের করা হল জ্যোতিপ্রিয়কে।
বেলা ১২.০৭: জ্যেতিপ্রিয়র চক্রান্তের পালটা দিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বললেন, “একজন দুজন না শুভেন্দুর ক্ষমতা থাকলে গোটা মন্ত্রিসভাকে জেলে পাঠাতো।”
বেলা ১১.৪৫: ২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে স্বাস্থ্যপরীক্ষা চলছে জ্যোতিপ্রিয়র।
সকাল ১০.২৪: জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেপ্তারির পর টুইটে তৃণমূলকে কটাক্ষ শুভেন্দুর। লিখলেন মন্ত্রিসভার বৈঠক এবার জেলেই ডাকতে হবে।
সকাল ১০.০০: আজই ধৃত বাকিবুরের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে জ্যোতিপ্রিয়কে।
সকাল ৯.১৫: জোকা ইএসআই হাসপাতালে পৌঁছলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেখান থেকে ফের দাবি করলেন চক্রান্ত করা হয়েছে।
সকাল ৮.৫৬: আরও বহু লোক হয়তো আছে এর নেপথ্যে। জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেপ্তারির প্রসঙ্গে এমনটাই বললেন দিলীপ ঘোষ। দ্রুত বাংলাকে দুর্নীতি মুক্ত করার ডাক দিলেন তিনি।
সকাল ৮.৩৫: সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের করা হল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জোকা ইএসআই হাসপাতালে। ইডি দপ্তর থেকে বেরিয়ে গ্রেপ্তারির জন্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করলেন জ্যোতিপ্রিয়। তাঁর দাবি চক্রান্তের শিকার তিনি, যার নেপথ্যে শুভেন্দু অধিকারী।
ভোর ৩.৩০: গাড়িতে ওঠার সময় মন্ত্রী দাবি করলেন চক্রান্তের শিকার তিনি।
ভোর ৩.২২: ম্যারাথন তল্লাশির পর অবশেষে রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেপ্তার প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সিজিও কমপ্লেক্সে।