সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একসময় খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। আর সেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকই নাকি রেশন দুর্নীতির কথা সব জানতেন। জেনেও উপযুক্ত পদক্ষেপ করেননি। পরিবর্তে দুর্নীতিগ্রস্তদের সঙ্গেই মিলিয়েছিলেন হাত। ইডির দাবি, রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নাকি তদন্তকারীদের কাছে একথা স্বীকার করেছেন। সূত্রের খবর, ব্যাঙ্কশাল আদালতে ইতিমধ্যেই নাকি রিপোর্টও পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
ইডির আধিকারিকরা মনে করছেন, রেশন দুর্নীতির একেবারে গোড়া থেকেই সব কিছু জানেন জ্যোতিপ্রিয়। তা সত্ত্বেও দুর্নীতিগ্রস্ত চালকলের মালিকদের নিয়ে একটি চক্র গড়ে। আর সেই চক্রেই যুক্ত ছিলেন রেশন দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি বাকিবুর রহমান। তাঁকে জেরা করেই আবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের যুক্ত থাকার ব্যাপারে নিশ্চিত হন তদন্তকারীরা। সেই অনুযায়ী গত বছরের ২৬ অক্টোবর গভীর রাতে গ্রেপ্তার করা হয় জ্যোতিপ্রিয়কে। আবার মন্ত্রীর লেখা চিঠির ভিত্তিতে ইডির জালে ধরা পড়েছেন বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য।
[আরও পড়ুন: নিউটাউনের অভিজাত আবাসনের ১০ তলা থেকে ‘ঝাঁপ’ বধূর, দাম্পত্য অশান্তির জের?]
ইতিমধ্যেই রেশন দুর্নীতি মামলায় আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। প্রায় হাজার কোটি টাকা রেশন দুর্নীতি হয়েছে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। ফোরেক্স সংস্থার মাধ্যমে রেশন দুর্নীতির কালো টাকা শংকর আঢ্য বিদেশে পাচার করে দিয়েছেন বলেই দাবি কেন্দ্রীয় এজেন্সির। তদন্তের কিনারায় শুধু জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কিংবা শংকর আঢ্যই নন, তদন্তকারীদের স্ক্যানারে দুজনের পরিবারের লোকজনও। তদন্তকারীদের দাবি, প্রতিদিনই কিছু না কিছু বিস্ফোরক তথ্য হাতে আসছে ইডির। আর কোনও রাঘববোয়ালের নাম সামনে আসে কিনা, সেদিকে নজর সকলের।