সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যাত্রীবাহী বিমানের আপৎকালীন দরজা খুলে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির সর্বভারতীয় যুব সভাপতি তেজস্বী সূর্যের (Tejaswi Surya) বিরুদ্ধে। বুধবার এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia)। ভুল করেই এমনটা করে ফেলেছেন বিজেপি সাংসদ, জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই ঘটনার জন্য তেজস্বী ক্ষমাও চেয়েছেন বলে দাবি সিন্ধিয়ার। কিন্তু এই ঘটনায় বিজেপিকে বিঁধেছেন বিরোধীরা। কর্ণাটক কংগ্রেসের (Congress) তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়নি কেন? বিজেপি সাংসদ তেজস্বীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে শিব সেনাও (Shiv Sena)।
ঘটনাটি গত ১০ ডিসেম্বরের। চেন্নাই থেকে তিরুচিরাপল্লিগামী ইন্ডিগোর ‘৬ই ৭৩৩৯’ বিমানটি তখন দাঁড়িয়ে রানওয়েতে। যাত্রীরা একে একে বিমানে উঠছেন। আচমকা ওই বিমানের দরজা খুলে ফেলেন এক যাত্রী। যদিও তখনই তিনি নিজের কাজের জন্য ক্ষমা চান। এই ঘটনার পর নতুন করে বিমানের প্রযুক্তিগত দিক পরীক্ষা করে দেখা হয়। এর ফলে উড়ানে বিলম্ব হয়ে যায় অনেকটাই। মঙ্গলবারই বিবৃতি দিয়ে এই ঘটনার কথা বিস্তারিত জানিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে DGCA। পরের দিনই এই ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন বিমান পরিবহন মন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: জনসংখ্যায় শীর্ষে ভারত! ২০২২ সালেই চিনকে ছাপিয়ে মাইলস্টোন, প্রকাশ্যে রিপোর্ট]
তবে তেজস্বী সূর্যর নাম বলেননি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তিনি বলেন, “ইতিমধ্যেই এই ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ক্ষমা চেয়েছেন। ভুলবশত বিমানের দরজা খুলে ফেলেছিলেন। বিরোধীরা কী বলছে, তার উত্তর নেই আমার কাছে। বাস্তব বলছে, বিমানটি কোনও দুর্ঘটনার মধ্যে পড়েনি। সমস্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে গন্তব্যে পৌঁছেছিল বিমান।” তবে বিরোধীদের প্রশ্ন, এতবড় কাণ্ড ঘটিয়ে শুধুমাত্র ক্ষমা চেয়েই কেন পার পেয়ে গেলেন তেজস্বী? প্রসঙ্গত, DGCA আধিকারিকদের তরফেও বলা হয়, ভুলবশতই হাত লেগে খুলে গিয়েছিল বিমানের দরজা। যাত্রীদের কোনও ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হয়নি।
কর্ণাটক কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, “বাচ্চাদের হাতের খেলনা তুলে দেওয়ার মতো করে যদি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়, তার ফল কেমন হবে সেই প্রমাণ দিয়েছেন তেজস্বী সূর্য। যাত্রীদের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করার অধিকার তাঁকে কে দিয়েছে? যদি এই কাজের জেরে একটা বিপর্যয় ঘটে যেত, তাহলে কাকে দোষ দিতেন প্রধানমন্ত্রী? এরকম কাজের পরেও তাঁকে ওই বিমানে চড়ার অনুমতি দেওয়া হল কেন?”শিব সেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদি বলেছেন, এই ঘটনা যদি মাঝ আকাশে ঘটত, তাহলে কি হত?” এই প্রসঙ্গে মজার একটি টুইট করেছেন কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার। তাঁর মতে, “আকাশপথে চলার সময়ে যদি সুরক্ষিত থাকতে চান, তাহলে কংগ্রেসের সঙ্গেই চলুন।”