সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাগপুরে আরএসএসের সমাবর্তনে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের উপস্থিতি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে সরগরম ছিল জাতীয় তথা রাজ্য রাজনীতি। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মতো আদ্যপান্ত ধর্মনিরপেক্ষ, কংগ্রেসী নেতার আরএসএস সমাবর্তনে যোগ দেওয়া উচিত হয়েছে কিনা তা নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তাঁর দল কংগ্রেসও প্রণববাবুর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট ছিল না। শেষপর্যন্ত অবশ্য সংঘের মঞ্চ থেকে তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে সমালোচকদের যোগ্য জবাব দেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। প্রণববাবুর উপস্থিতির পর সংঘের গ্রহণযোগ্যতা নিঃসন্দেহে বেড়েছে। কারণ এরপরই সংঘের মঞ্চে দেখা গিয়েছে বিখ্যাত শিল্পপতি রতন টাটাকে। সংঘপ্রধানের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নিতে কুণ্ঠাবোধ করেননি তিনিও। এবার সংঘের মঞ্চে জুড়তে চলেছে নতুন পালক। আরএসএসের মঞ্চে এবার হাজির থাকতে চলেছেন একজন নোবেলজয়ী।
[‘রাফালে দুর্নীতি বোফর্সের বাপ’, আরও তীব্র শিবসেনার সুর]
নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া কৈলাশ সত্যার্থীকেই এবছর বিজয়াদশমী সমাবেশের প্রধান অতিথি হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। দশেরার এক দিন আগে অর্থাৎ আগামী ১৮ অক্টোবর আরএসএসের নাগপুরের রেশমিবাগ ময়াদনে আয়োজিত হবে সংঘের বিজয়াদশমী সমাবেশ। প্রতি বছরই এই দিন প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে পালন করে সংঘ। ১৯২৫ সালে বিজয় দশমীর দিনই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আরএসএস। প্রতিবছর ওই দিন বিশেষ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতদিন সাধারণত এই অনুষ্ঠানে ধর্মীয় নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হত। গতবারও অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন সন্ত নির্মল দাস। কিন্তু এবারে ধর্মনিরপেক্ষ মুখ হিসেবে নোবেলজয়ীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আরএসএসের ধারণা, নোবেলজয়ীর উপস্থিতি জাতীয় স্তরে সংঘের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়াবে।
[‘বসকে বলো ছুটি দিতে’, মেয়ের আবদারে স্কুলে গেলেন কিরেন রিজিজু]
রাহুল গান্ধী তথা কংগ্রেস যখন বিভিন্ন ইস্যুতে আরএসএসের মুণ্ডপাত করছে, আরএসএসের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তখন সংঘের সংঘের সভায় নোবেলজয়ীর উপস্থিতি নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের আরএসএস সমাবর্তনে উপস্থিতি জাতীয় স্তরে সংঘের গ্রহণযোগ্যতা নিঃসন্দেহে বাড়িয়েছে। রতন টাটার উপস্থিতিতেও উপকার পেয়েছে সংঘ, অন্তত আরএসএসের এমনটাই দাবি। সংঘ তথা বিজেপির দাবি, সংঘের মঞ্চে কৈলাশ সত্যার্থীর উপস্থিতি আরও একবার প্রমাণ করল আরএসএস জাতীয় স্তরে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে। যদিও, বিরোধীরা সংঘের দাবিতে আমল দিতে চাইছেন না।