রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: মুকুল রায়, অরবিন্দ মেনন, দিলীপ ঘোষদের উজ্জ্বল উপস্থিতিতেই সল্টলেকে উদ্বোধন হয়েছিল সব্যসাচী দত্তর গণেশ পুজোর। এবার সেই পুজো উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চ আলোকিত করলেন বিজেপি শীর্ষ নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বুধবার সন্ধেবেলা দেখা গেল, মঞ্চে অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে কৈলাস বিজয়বর্গী শুধু একসারিতে বসেই নেই। একেবারে হাতে মাইক্রোফোন
নিয়ে গান গাইছেন। পরনে সাদা কুর্তা-পাজামা, হলুদ জ্যাকেট, গেরুয়া উত্তরীয়।একেবারে সাবলীলভাবে ছোট্ট ভাষণ দিয়ে গান শুরু করলেন। পাশে দেখা গেল ঘি রঙা পাজামা-পাঞ্জাবিতে সব্যসাচী দত্তর হাসিমুখ। এ দৃশ্যই বুঝিয়ে দিল, রসায়ন বেশ জমছে।
[আরও পড়ুন : প্রবীণ ও বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য পাস দেবে পুজো কমিটি]
বিজেপি নেতার আনু্ষ্ঠানিক পরিচিতিটুকুই যা বাকি। বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র তথা এলাকারই বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত খাতায়-কলমে তৃণমূলও ছাড়েননি। এটুকু বাদ দিলে বাকি সবটাই খুব স্পষ্ট। এরাজ্যের গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে দিন দিন তাঁর সখ্য যেভাবে বাড়ছে, তাতে যে কোনও দিন, যে কোনও মুহূর্তে তৃণমূল বিধায়কের রাজনৈতিক পরিচয় পালটে যাওয়াটা খুব আশ্চর্যের কিছু নয়। আর সব্যসাচীর এমন খুল্লমখুল্লা বিজেপি সমর্থনে তাঁর মধ্যে ‘ঘরশত্রু’কেই দেখছে শাসক শিবির।
কখনও লুচি-আলুরদম দিয়ে তৃণমূল ত্যাগী বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে বাড়িতে আপ্যায়ণ, কখনও তাঁর সঙ্গে আইনি পরামর্শ, কখনও আবার বারাকপুরের আহত বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যাওয়া – বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়রের গেরুয়া শিবির ঘনিষ্ঠতার একের পর এক নমুনা চোখের সামনেই জ্বলজ্বল করছে। গণেশ পুজো ঘিরে সেই ঘনিষ্ঠতা যেন আরও কিছুটা গভীর হল। প্রথমদিন পুজোর ফিতে কেটেছিলেন এরাজ্যের পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন। সঙ্গে ছিলেন মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ। তারউপর আবার তাঁর অনুরোধে কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় শুধু পুজোয় আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে এলেনই না, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগদান করে তা রীতিমতো অন্য মাত্রায় নিয়ে গেলেন। এরপর অপেক্ষা শুধু একটাই। কবে আনুষ্ঠানিকভাবে গেরুয়া উত্তরীয় পরিহিত সব্যসাচী দত্তকে দেখা যাবে।
[আরও পড়ুন : বিপজ্জনক বউবাজারে মন্ত্রীকেও আবাসন খালি করতে বলল মেট্রো কর্তৃপক্ষ]
The post ভিন্ন রূপে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সব্যসাচী দত্তর গণেশ পুজোয় এসে শোনালেন গান appeared first on Sangbad Pratidin.