সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কালীপুজো (Kali Puja) মানেই উত্তর ২৪ পরগনা নৈহাটি, বারাসত বিশেষ আকর্ষণ। এখানকার কালী প্রতিমা থেকে শুরু করে মণ্ডপসজ্জার টানে সুদূরের জেলাগুলি থেকেও ভিড় করেন দর্শকরা। কলকাতার বিশেষ কয়েকটি দুর্গাপুজোর টান যেমন অমোঘ, তেমনই নৈহাটি-বারাসতের কয়েকটি কালীপুজো দর্শন না করে যেন আলোর উৎসব অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তারই মধ্যে অন্যতম নৈহাটির (Naihati) বিখ্যাত ‘বড়মা’। এ বছর বড়মার পুজো ১০০ বছরে পা দিল। আর সেই কারণে জাঁকজমক আরও বেশি। কিন্তু কেন এখানকার দেবী সকলে বড়মা? তাঁর মাহাত্ম্যই বা কী? এই প্রতিবেদনে রইল তার খোঁজ।
ইতিহাস (History) থেকে যেটুকু জানা যায়, তাতে আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগে, জনৈক ভবেশ চক্রবর্তী ও তাঁর চার বন্ধু মিলে নবদ্বীপে (Nabadwip) ভাঙা রাস দেখতে যান। সেখানে গিয়ে বড় বড় মূর্তি দেখে অপার বিস্ময় গ্রাস করে। এই মূর্তি দেখে তাঁরা নৈহাটিতে এক রক্ষাকালী মূর্তিকে বিশালাকার মূর্তি গড়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কথিত আছে, এই পুজো ভবেশ চক্রবর্তী স্থাপন করেছিলেন। তাই দেবীর নাম হয় ভবেশ কালী।
[আরও পডুন: ‘আর বাঁচব না’, ইডি হেফাজতে মৃত্যুভয় তাড়া করছে জ্যোতিপ্রিয়কে!]
আর বিশালাকার মূর্তির (Idol) জন্য ‘বড় মা’ বলেন সকলে। তবে ‘বড়মা’ নামের আরও এক তাৎপর্য আছে। অনেকেই শনি দেবতাকে ‘বড় ঠাকুর’ বলে থাকেন। গ্রহরাজ ও গ্রহের অধিপতি বলে তাঁকে বড়ঠাকুর বলে অনেকেই ডাকেন। তেমনি নৈহাটির বড়মার নামকরণ হয়েছে বিশেষ কারণে। কালী মূর্তির উচ্চতা প্রায় ২১ ফুট। এই কারণে তাঁর নাম বড়মা। খুব জাগ্রত দেবী বলে মুখে মুখে তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়েছে। এতদিন ছবিতেই পূজিতা হতেন তিনি। এবছর, শততম বর্ষে নৈহাটির অরবিন্দ রোডের মন্দিরে তাঁর মূর্তি স্থাপিত হল। লক্ষ্মীপুজোর দিন তার সূচনা হয়। মন্দির সংস্কার করে দুয়ার খুলে দেওয়া হয় ভক্তদের জন্য। সেই হিসেবে ‘বড়মা’র মূর্তিতে এবারই প্রথম পুজো। ফলে এবছর জৌলুস, জাঁকজমক অনেক বেশি।