অর্ণব দাস, বারাকপুর: বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে কালীপুজোর মূল আকর্ষণ নৈহাটি। আলোর উৎসবে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একদিকে যেমন প্রসিদ্ধ বারাসত, অপরদিকে নৈহাটির পুজোরও বেশ খ্যাতি আছে। এই দুই জায়গাতেই ভিড় জমান উৎসাহী দর্শনার্থীরা। আর নৈহাটির 'বড়মা' পুজোয় তো ভক্তদের ঢল স্বাভাবিক চিত্র। এবার তাকে কেন্দ্র করেই কালীপুজোয় নিরাপত্তা ব্লুপ্রিন্ট সাজিয়েছে পুলিশ। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে শনিবার বৈঠক করে নিরাপত্তায় বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এনিয়ে গাইড ম্যাপ প্রকাশ করেছেন পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া।
শনিবার নৈহাটির পুজো সংক্রান্ত গাইড ম্যাপ প্রকাশ করেন পুলিশ কমিশনার আলোক রাজোরিয়া। নিজস্ব ছবি।
'বড়মা'র পুজোকে কেন্দ্রে করে প্রতি বছর ভিড় বাড়ছে নৈহাটিতে। তাছাড়া গঙ্গাপাড়ের এই শহরে রয়েছে আরও ২২-২৩টি বড় কালীপুজো। এবছর ভিড় সামাল দিতে বিশেষ তৎপর বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। প্রতি বছরই শহরের একাধিক রাস্তা 'নো এন্ট্রি' থাকে। তাই ট্রেনে করেই নৈহাটির পুজো দেখতে দর্শনার্থীরা। সেই ভিড় থাকবে এবারও। সবমিলিয়ে উৎসবের মরশুমে এখানকার সুরক্ষায় মোতায়েন থাকবে 'আদ্যা' অর্থাৎ পিঙ্ক পুলিশ। বিসর্জন উপলক্ষেও থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কারণে রেল পুলিশের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। সুষ্ঠুভাবে পুজো পরিচালনার জন্য বড়কালী পুজো সমিতি-সহ সবকটি পুজো কমিটির সঙ্গেই আলোচনা করেছেন কমিশনারেটের পুলিশ কর্তারা। শনিবার নৈহাটির পুজো সংক্রান্ত গাইড ম্যাপ প্রকাশ করেন পুলিশ কমিশনার আলোক রাজোরিয়া। তিনি জানান, ''পুজোয় নারী সুরক্ষা নিয়েও আমার বিশেষভাবে তৎপর। কালীপুজোর কটা দিন আদ্যা (পিঙ্ক পুলিশ) সহ উইনার্স টিমের কড়া নজরদারি থাকবে।'' ৪ নভেম্বর এখানকার প্রতিমা বিসর্জন। ওইদিনের নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। প্রতি বছর ব্যাপক ভিড় ও যান নিয়ন্ত্রণের জন্য আবাসিকদের সমস্যা হয়। তাই এবছর বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ 'পাস' ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ।