ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে মুকেশ আম্বানির মুখে কালীঘাট মন্দির! সম্মেলনের মঞ্চে বক্তৃতার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে বিশ্বখ্যাত শিল্পপতি বললেন,”দিদি, কালীঘাট যেমন আপনার প্রিয়, তেমনি আমার এবং নীতার। এই জায়গাটার পুরনো ঐতিহ্য আমি ফিরিয়ে দেব।”
আসলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) গত কয়েক বছর ধরেই কালীঘাট মন্দির চত্বর ঢেলে সাজাতে চাইছেন। সেই চেষ্টাও শুরু হয়েছে কয়েক বছর আগেই। ২০১৯ সালে কালীঘাট মন্দির (Kalighat Temple( সংস্কারের দায়িত্ব পেয়েছিল কলকাতা পুরসভা (KMC)। কথা হয়েছিল, ১৮ মাসের মধ্যেই মন্দির সংস্কার সম্পূর্ণ হবে। কিন্তু আদপে তা হয়নি। পুরসভার দাবি, করোনা কালে দীর্ঘ সময় থমকে ছিল কাজ। তারপর মন্দির চত্বর থেকে দোকানিদের সরাতেও বেগ পেতে হয়েছিল পুরসভাকে। উপরন্তু সারা বছর মন্দিরে ভক্তদের ভিড়। সব মিলিয়ে মন্দির সংস্কারের কাজের গতি শ্লথ হয়।
[আরও পড়ুন: ‘আপনি সত্যিই অগ্নিকন্যা’, মমতার ভূয়সী প্রশংসা আম্বানির, আরও ২০ হাজার কোটি লগ্নির ঘোষণা]
গত চৈত্র সংক্রান্তিতে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে সংস্কারের কাজে ঢিলেমি দেখে ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই নিজ উদ্যোগে মন্দির সংস্কারের দায়িত্ব রিলায়েন্সের হাতে তুলে দেন মমতা। তার পর গত প্রায় মাস ছয়েক মন্দির সংস্কারের কাজ করছে আম্বানির সংস্থা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ৭০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুতই সেই কাজ শেষ হবে।
[আরও পড়ুন: ‘মানসিকভাবে বাণিজ্য সম্মেলনেই আছি’, BGBS নিয়ে মন্তব্য রাজ্যপালের]
রিলায়েন্সের তত্ত্বাবধানে সংস্কার হবে মূল মন্দির, গর্ভগৃহ, ভোগঘর, নাটমন্দির, শিব মন্দির, কুণ্ডপুকুর, মন্দিরের চাতাল-সহ ভিতর এবং বাইরের দেওয়াল, বলির জায়গা-সহ গোটা মন্দির চত্বর। পুরো কাজটাই হবে মন্দিরের ঐতিহ্য বজায় রেখে। মঙ্গলবার বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে মন্দিরের সংস্কার কাজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) বললেন,”আমরা গোটা মন্দির চত্বর সংস্কার করছি। শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্যমণ্ডিত স্থাপত্যগুলির সংস্কার করে এর পুরনো সম্মান ফিরিয়ে দিতে চাই। প্রিয় মমতা দিদি, এই কাজটা আমার আর নীতার হৃদয়েরও ততটাই কাছের, যতটা আপনার।”