অর্ণব আইচ: অভিযোগ স্বীকার করানোর জন্য চাপ দিচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। আইনজীবী মারফত আদালতকে জানালেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তারই ভিত্তিতে তাঁকে জেরার সময় আইনজীবী উপস্থিত থাকার জন্য আবেদন জানান দক্ষিণ কলকাতার ওই ব্যবসায়ী।
গত ৩১ মে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হন সুজয়কৃষ্ণবাবু। ইডির দাবি, তাঁকে জেরা করে শিক্ষক ও অশিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। ইডির দাবি, ব্যবসায়ী সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ও তাঁর পরিচিত এবং সংস্থার নামে অন্তত ৫০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। একাধিক ব্যাংকে রয়েছে ওই অ্যাকাউন্টগুলি। ওই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতির বিপুল পরিমাণ কালো টাকা সাদা করা হয়েছে, এমনই অভিযোগ। ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে ইতিমধ্যেই ইডির হাতে ধৃত অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অ্যাকাউন্ট থেকে কোনও টাকা লেনদেন হয়েছে কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। এ ছাড়াও মানিক ভট্টাচার্য ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও সুজয়কৃষ্ণর যোগাযোগ ছিল বলে অভিযোগ। সেই সূত্র ধরে তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকেও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর অ্যাকউন্টে টাকা লেনদেনের বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন ইডি আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: ওড়িশা ট্রেন দুর্ঘটনায় ‘শোকস্তব্ধ’ রাজা চার্লস, ভারতের পাশে ব্রিটেন]
বিচারক তাঁর নির্দেশে জানান, আইন অনুযায়ী অভিযুক্ত হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর আইনজীবী দেখা করতে পারলেও সারাক্ষণ জেরার সময় থাকতে পারেন না। জেরার সময় দূর থেকে অভিযুক্তকে আইনজীবী দেখতে পারবেন, কিন্তু জেরায় তিনি কী বলছেন, তা শুনতে পারবেন না। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক জানান, অভিযুক্তর একজন আইনজীবী একদিন অন্তর একদিন আধঘণ্টার জন্য তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। কিন্তু সময়টি হবে অভিযুক্তর বয়ন নেওয়ার আগে অথবা পরে। আইনজীবী আসার আগে তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে নেবেন। আইনজীবী কখন অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর সঙ্গে দেখা করতে আসছেন, ইডির তদন্তকারী আধিকারিককে তার রেকর্ড রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।