গোবিন্দ রায়: এবার নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে কালীঘাটের কাকু(Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা ও অন্তর্বতী জামিনের আরজি নিয়ে আদালতে ধৃতের আইনজীবী। মামলা দায়েরের অনুমতি দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃতদের মাধ্যমেই কিছুদিন আগে উঠে আসে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম। একাধিকবার তাঁকে জেরা করা হয়। অবশেষে গ্রেপ্তারি। সুজয়কৃষ্ণের বন্দিদশাতেই মৃত্যু হয় তাঁর স্ত্রীর। সেই সময় প্যারোলে মুক্তি পান কালীঘাটের কাকু। তারপরই হঠাৎ করে অসুস্থতা। ভরতি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই ভরতি তিনি। সেই কারণে বৃহস্পতিবার আদালতে সশরীরে হাজিরা দিতে পারেননি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এদিন আদালতেই ‘কালীঘাটের কাকু’র অসুস্থতাকে হাতিয়ার করেই জামিনের আরজি জানালেন তাঁর আইনজীবী। এদিন আদালতে আইনজীবী জানিয়েছেন, সুজয়কৃষ্ণের হার্টের অবস্থা একেবারেই ভাল নয়। ৩ টি ধমণীতে ব্লকেজ রয়েছে। ইতিমধ্যেই অ্যাঞ্জিওগ্রাম করা হয়েছে। ওপেন হার্ট সার্জারি করতে হবে। এসএসকেএমের রিপোর্ট পেশ করে আইনজীবী আদালতে বলেন, অপারেশন ১০০ শতাংশ সফল হয় না। পাশাপাশি এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসা নিয়েও খানিকটা সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। আইনজীবীর আরজি, সুজয়কৃষ্ণকে যেন তাঁর পছন্দের বেসরকারি হাসপাতালে ও পছন্দের চিকিৎসকদের কাছে অস্ত্রোপচারের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু ইডির এই আরজির বিরোধিতা করে।
[আরও পড়ুন: বামনগোলার ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ, ক্লোজ করা হল আইসি-সহ ৪ পুলিশ কর্মীকে]
শুনানি শেষে আদালত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের আরজি খারিজ করে আদালত। এসএসকেএমেই চিকিৎসার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই শুক্রবার নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে গেলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের আইনজীবী। তাঁদের আরজি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার নির্দেশ দিক আদালত এবং জামিন মঞ্জুর করা হোক। জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন করেছেন আইনজীবী।