গোবিন্দ রায়: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের চিকিৎসা সংক্রান্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দেওয়া হল কলকাতা হাই কোর্টে। সোমবার সুজয়কৃষ্ণ ওরফে কালীঘাটের কাকুর জামিন মামলায় এসএসকেএম হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার আদালতে উপস্থিত থেকে এই রিপোর্ট পেশ করেছেন।
উচ্চ আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে জমা পড়া ওই মেডিক্যাল রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র এখনও ‘মেডিক্যালি আনফিট’। অর্থাৎ পুরোপুরি সুস্থ নন তিনি। গত বছর ৮ ডিসেম্বর থেকে আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন কালীঘাটের কাকু। বুকে স্টেন্ট বসানো আছে। কার্ডিও-অবস্থা স্থিতিশীল। এদিন এই রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে। ইডি তাদের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে পরীক্ষা করে দেখবে। ৭ ফেব্রুয়ারি ফের এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘নির্বাচকদের গিয়ে জিজ্ঞেস করুন!’, বিরাটকে নিয়ে প্রশ্ন করতেই অদ্ভুত জবাব দ্রাবিড়ের]
এদিকে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের আইনজীবীদের ভূমিকায় এদিন অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। এর আগে তাঁর আইনজীবী হিসাবে অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্তের সওয়াল করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এজির পর রাজ্যের পাবলিক প্রসিকিউটরকেও উচ্চ আদালতের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। এক সময় অভিযুক্তের হয়ে সওয়াল করার পর পাবলিক প্রসিকিউটর কীভাবে এখন একই অভিযুক্তের মামলায় রাজ্যের হয়ে সওয়াল করছেন? এদিন সেই প্রশ্নই তুলে দেন হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের জামিন মামলায় পাবলিক প্রসিকিউটর দেবাশিস রায়কে রাজ্যের হয়ে সওয়াল করতে দেখে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, “রাজের আইনজীবীদের এই ভূমিকা গ্রহণযোগ্য নয়।”